৭শ’ বছর ধরে চলছে হাইকোর্ট মাজারের এই লঙ্গরখানা
প্রকাশিত : ২১:১৪, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ২১:৩৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
প্রায় ৭শ’ বছর ধরে চলছে হাইকোর্ট মাজারের লঙ্গরখানা। একবেলা পেট ভরে খাবার পেতে দুপুরে মাজারের চত্বরে থাকে ছিন্নমূল মানুষের ভীড়। ঈদ, নববর্ষসহ সারাবছরই এসব ঘর-বাড়িহীন পথের মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করে হাইকোর্ট মাজার ও মসজিদ প্রশাসন কমিটি।
সেলিনা। বয়স ৫৫’র কাছাকাছি। সকাল ৭টায় মাজারে প্রবেশ করে সারাদিন খাদেম, ভক্তকূল মাজারে আসা ছিন্নমূল মানুষের রান্নায় ব্যবহৃত পিঁয়াজ-রসুন-আদাসহ বিভিন্ন কাটাকুটির কাজ করে দেন তিনি।
এই কাজ স্বেচ্ছায় করেন, অর্থের বিনিময়ে নয়। তবে মাজার থেকে দু’বেলা খাবার পাচ্ছেন এতেই সন্তুষ্ট হাইকোর্ট মাজারে ২৬ বছর কাটিয়ে দেয়া সেলিনা।
তিনি বলেন, “আমার স্বামীর জুয়া খেলার নেশা ছিল, ঘরভাড়া রাখতে পারতোনা। পরে আমাকে হাইকোর্টের মাজারে নিয়ে আসে। ভালোই আছি। শুধু বাড়ির অভাব, অন্যকিছুর অভাব নেই।”
সেলিনার মত এখানে স্বেচ্ছায় শ্রম দেয়া ভক্তের সংখ্যা অগণিত। যাদের নিজের ঘরবাড়ি নেই, মাজারই তাদের ঠিকানা।
সবসময়ই ভক্ত-মুসল্লিদের ভীড় থাকে হাইকোর্টের হযরত শাহ খাজা শরফুদ্দিন চীশতির মাজারে। কথিত আছে খাজা শরফুদ্দীন চিশতী ৭০০ বছর আগে যখন এখানে খাবার খেতেন প্রতিদিনই অনেকে সাথে নিয়ে খাবার গ্রহণ করতেন। তখন থেকেই ব্যবস্থাপনা চলে আসছে।
বাবুর্চি জানান, সরকারি লোকজন খায়, বেসরকারি লোকজনও খায়। ফকির-মোস্তানরাও খায়। রিক্সাওয়ালা-ঠেলাগাড়িওলারাসহ প্রায় দেড় হাজারের মতো লোক লাইন ধরে খায়।”
মাজারে আসা, বসবাস করা ছিন্নমূল মানুষের জন্য খাবার-স্বাস্থ্যসেবাসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান কমিটি।
সুপ্রিম কোর্ট মাজার ও মসজিদ প্রশাসন কমিটির সদস্য বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান বলেন, “প্রতিদিন এখানে দু’বেলা খাবার দেওয়া হয় গরু-মুরগীর মাংস দিয়ে। সপ্তাহে দু’দিন ভাত দেওয়া হয় বাকি পাঁচদিন খিচুরি-তেহারি-বিরিয়ানি থাকে।”
সারা বছরই ছিন্নমূল মানুষদের জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়ে থাকে কমিটি।
এএইচ
আরও পড়ুন