ঢাকা, বুধবার   ২৬ জুন ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পুরস্কার প্রাপ্তির ৫১ তম বার্ষিকী উপলক্ষে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আয়োজন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:২৫, ২৩ মে ২০২৪ | আপডেট: ১৯:২৭, ২৩ মে ২০২৪

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জুলিও কুরি পুরস্কার প্রাপ্তির ৫১ তম বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সম্প্রীতি বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে "শান্তি ও সম্প্রীতির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু" শিরোনামে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কবি ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, "দারিদ্র দূর করার মাধ্যমে সত্যিকারের শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।"

জাতির পিতার বিভিন্ন উক্তিকে স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, "বর্তমান সময়ে বিশ্ব শান্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও কর্মময় জীবন সংগ্রামকে ধারণ করা দরকার। বঙ্গবন্ধু তার জীবন এবং কর্মে বিশ্ব শান্তি  ও সমৃদ্ধির বিষয়কে আজীবন গুরুত্ব দিয়েছেন। একটি পশ্চাদপদ পরাধীন জনগোষ্ঠীকে স্বাধীনতার সুফল এনে দিয়ে একই সাথে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রগন্য ভূমিকা পালন করে তিনি বিশ্ব মাঝে বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন। হয়েছেন বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধু।" 

বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবনকে ধারণ করবার জন্য নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর রচিত গ্রন্থগুলো পাঠ করার আহবানও জানান তিনি।

সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পুরস্কার ও পদ্মশ্রী প্রাপ্ত লে. ক. সাজ্জাদ আলী জহির (বীরপ্রতীক), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামূল হক ভূঁইয়া, বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ওগণমাধ্যম কর্মী চঞ্চল খান, বঙ্গবন্ধু গবেষক আফিজুর রহমান প্রমূখ। 

অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক পাওয়াটা তার সামগ্রিক জীবনের ত্যাগ, সংগ্রামী নেতৃত্বে এবং বিশ্বমানবতার প্রতি একনিষ্ট ভালবাসার গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় মাত্র।

আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

সমকালীন বিশ্বের অশান্ত পরিস্থিতি চিরতরে দূর করার ক্ষেত্রে এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন এবং দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

মহান মুক্তিযুদ্ধে জুলিও কুরি পদক এর প্রবক্তা বিশ্বশান্তি পরিষদ এর সমর্থন ও সম্পৃক্ততার কথাও তিনি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। 

৪৬  থেকে ৭৫ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সাহসী ভূমিকা ও ত্যাগের কথা উল্লেখ করে মূখ্য আলোচক লে. ক.সাজ্জাদ আলী জহির দেশের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

মহান মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে সম্মানীত করে বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতিকেই সম্মানিত করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন আলোচকবৃন্দ। 

একটি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করারর পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু যে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন সেজন্য বিশ্বশান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ববন্ধু উপাধীতে ভূষিত করেন। 

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে ধারণ করে একনিষ্টভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

"সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়" বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত এই গভীর বাণীকে ধারণ করে শেখ হাসিনা বিশ্বমাঝে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর আলোচনায় একথাও গুরুত্বের সাথে উচ্চারিত হয়। 

আলোচনা সভায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার এবং তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএম//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted







© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি