বাড্ডায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নিহত ১
প্রকাশিত : ১১:০৪, ৩০ মে ২০২৪
রাজধানীর বাড্ডার এক বাসায় গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শান্তা নামে এক নারী দগ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভোরের দিকে বাড্ডা ডিআইটি রোডের তিনতলা একটি ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার পরপরই বারিধারা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালায়।
রান্নাঘরে গ্যাস লিকেজ থেকে অথবা সুয়ারেজ লাইনের বিষাক্ত গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণ হতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (সদর) তালহা বিন জসিম জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় একজন পুরুষ নিহত হয়েছেন ও একজন দগ্ধ হয়েছেন।
নিহত সোলায়মান (৩০) ঘটনাস্থলের বিপরীত পাশে বাড্ডা কাবাব রেস্তোরাঁর কর্মচারি ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহর ফুলবাড়িয়া উপজেলার পলাশতলী গ্রামে।
এদিকে, দগ্ধ শান্তা (২৭)কে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার তরিকুল ইসলাম বলেন, বাড্ডা থেকে সকালে এক নারীকে দগ্ধ অবস্থায় আমাদের এখানে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, বাসার নিচ তলার রান্নাঘরে তিতাস গ্যাসের লাইনের পাইপ থেকে লিক হয়ে গ্যাস জমে ছিল অথবা বাসার সামনে সুয়ারেজ লাইন থেকে বিষাক্ত গ্যাস ওই বাসায় জমে ছিল। সেখান থেকেই সকালে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে।
দগ্ধ শান্তার স্বামী মো. নাসির হাওলাদার জানান, তারা বাড়িটির নিচতলায় ভাড়া থাকেন। শান্তা স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন আর তিনি মাছের আড়তে কাজ করেন। ভোর পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠে কাজে চলে যান তিনি। তখনও ঘুমিয়ে ছিলেন শান্তা। এরপর কিছুক্ষণ পর তিনি খবর পান, তাদের বাসায় বিকট বিস্ফোরণ হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি বাসায় গিয়ে দেখেন বাসার সামনে দগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন শান্তা। তার সমস্ত শরীর পুড়ে গেছে।
এরপর তিনি শান্তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান।
এএইচ
আরও পড়ুন