ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর পশুর হাটে মাঝারি গরুর চাহিদাই বেশি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৪৩, ৩১ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ০২:৩৪, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে বড় গরুর চেয়ে মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদাই বেশি। বেশির ভাগ ক্রেতাই সাধ ও সাধ্যের মধ্যেই গরু কেনার ক্ষেত্রে এ দুই ধরনের গরুকে বেছে নিচ্ছেন। চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেশি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে বড় গরুর চাহিদা না থাকায় অনেক বিক্রেতাকেই হতাশাগ্রস্ত দেখা গেছে। শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা ৩০০ ফুট, গাবতলী ও মিরপুর গরু-ছাগলের বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

কুড়িল বিশ্ব বসুন্ধরা সংলগ্ন ৩০০ ফুট বাজারে দেখা যায়, তুলনামূলক লাভ কম থাকায় ছোট গরু বাজারে কম এনেছেন বিক্রেতারা। প্রতি বছরই মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি থাকায় এবারও বেশি জুটেছে এ গরু।।এ ক্ষেত্রে ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকার মধ্যে ক্রেতারা বেশি সাড়া দিচ্ছেন।

কুষ্টিয়া থেকে পাঁচটি গরু গরু নিয়ে আসা মজিবর রহমান জানান, এ বছর মাঝারি গরুর চাহিদাই বেশি মনে হচ্ছে। দাম স্বাভাবিক থাকায় বিক্রিও ভালো হচ্ছে। আশা করছি ভালোভাবেই সব গরু বিক্রি হবে।

সাইফ হোসেন নামের এক ক্রেতা জানান, গরুর দাম গত বছরের চেয়ে বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা। প্রতিটি গরুতে এবার ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেশি বেড়েছে। তারপরও বাড়তি ঝামেলা এড়াতে আগেই কিনতে এসেছি।

তবে বড় গরু এখনও বিক্রি শুরু না হওয়ায় অনেকটা হতাশ অবস্থায় দেখা গেছে গাবতলী বাজারের গরু বিক্রেতা আক্তারুল ইসলামকে। ৫টি গরু নিয়ে মঙ্গলবার রাতে এ হাটে এসেছেন তিনি। এখনও একটি গরুও বিক্রি করতে পারেননি তিনি।

বড় গরুর চাহিদা কেন নেই এমন প্রশ্নের জবাবে গাবতলী বাজারের ক্রেতা সাইফ জানান, হাইব্রিড গরুকে মোটাতাজাকরণ ইনজেকশন দেয়া হয়। ইতোমধ্যে একটি হাইব্রিড গরু মারাও গেছে। তাই বড় গরুর চেয়ে মাঝারি গরুই আমার কাছে ভালো মনে হচ্ছে। তাই এক লাখ টাকা দিয়ে দেশি গরু কিনেছি।

সরেজমিনে গরু ব্যবসায়িদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বড় গরুকে মোটাতাজাকরণের ইনজেকশন দেয়া হয়। এর কারণে এ গরুগুলোর গরম লাগে। অনেক সময় স্ট্রোক করে মারা যায়। তাই হাইব্রিড গরু যত তাড়াতাড়ি বিক্রি করা যায় ততই ভালো।

মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং হাটে দেখা যায়, ১০টি গেট দিয়ে প্রায় ৯ হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ উঠেছে। এ হাটে পশুর ধারণক্ষমতা রয়েছে ২০ হাজার। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। চাহিদা বেশি থাকায় এই আকারের গরুর দাম তুলনামূলক বেশি।

বেপারি, হাট ইজারাদারসহ সংশিষ্টরা জানান, এখন পর্যন্ত গরুর দাম সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) রাত থেকেই সব ধরনের পশুর চাহিদা বেড়ে যাবে। রাজধানীবাসী অনেকেরই বাসায় জায়গা স্বল্পতা থাকার কারণে এক দিন বাকি থাকতেই তারা পশু কিনবেন। আশা করছি রাত থেকেই পুরোদমে জমে উঠবে রাজধানীর পশুর বিক্রি।

উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ৭টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ১৬টি অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা দিয়েছে। এর বাইরে মহানগরীর অলিগলিতে বহু অবৈধ হাট বসানো হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর ও সরকার দলীয়দের মদদে এসব হাট বসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আর/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি