শব্দদূষণ : স্ট্রোক-ব্রেন ক্যানসারের ঝুঁকিতে নগরবাসী (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৮:১৩, ১৪ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১২:২৭, ১৭ জুলাই ২০১৮
ভয়াবহ শব্দ দূষণের শিকার রাজধানীবাসী। দিন দিন বাড়ছে এই মাত্রা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে রাজধানীবাসীর বড় একটি অংশ আংশিকভাবে হলেও বধির হয়ে যাবে। এছাড়া, উচ্চ রক্তচাপ, ষ্ট্রোক, অনিদ্রা, ফুসফুস ও ব্রেন ক্যানসারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। আর শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন থাকলেও, তার প্রয়োগ নেই।
এ’ বিষয়ে বিস্তারিত থাকছে রাত ১০টায় একুশের চোখ অনুষ্ঠানে।
রাজধানী ঢাকায় পানি, বায়ুর পাশাপাশি রয়েছে শব্দ দূষণ। কিন্তু অন্যান্য দূষণের মতো এই দূষণ চোখে দেখা যায় না বলে, এটি উপেক্ষিত থেকে যায়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ২০০৬ সালের নীতিমালা অনুযায়ি, আবাসিক এলাকায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ শব্দসীমা ৫৫ ডেসিবেল এবং রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৫ ডেসিবেল। একইভাবে, নীরব এলাকার জন্য এই শব্দসীমা যথাক্রমে সর্বোচ্চ ৫০ ও ৪০ ডেসিবেল, মিশ্র এলাকায় ৬০ ও ৫০ ডেসিবেল, বাণিজ্যিক এলাকায় ৭০ ও ৬০ ডেসিবেল এবং শিল্প এলাকায় ৭৫ ও ৭০ ডেসিবেল নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু, শব্দের মাত্রা রাজধানীর প্রায় প্রতিটি স্থানেই দিগুণ থেকে তিনগুণ।
নিয়ন্ত্রনহীন শব্দ দূষণে অতীষ্ঠ নগরবাসী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল আইন এবং তার প্রয়োগের অভাবেই দিন দিন বাড়ছে শব্দ দূষণের মাত্রা।
আইনের দুর্বলতার কথা স্বীকার করলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এই পরিচালকও।
চিকিৎসকরা বলছেন, যেভাবে শব্দ দূষণ বাড়ছে, তাতে ২০২১ সালের মধ্যে রাজধানীর অর্ধেক মানুষের শ্রবণ শক্তি কমে যাবে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, অন্তত ৩০টি জটিল রোগের অন্যতম কারণ শব্দ দূষণ।
আরও পড়ুন