নির্বাচনে নাশকতা সৃষ্টির পেছনে তারেকের হাত রয়েছে : নানক
প্রকাশিত : ২০:৩৩, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিনষ্ট করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলে মন্তব্য করছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবীর নানক।
আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে এক যৌথ সভা শেষে দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন নানক।
নির্বাচন বানচালের জন্য নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টার পেছনে তারেক রহমানের হাত রয়েছে বলে দাবি তিনি। তিনি বলেন, ‘তারেকের বক্তৃতায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্টের পরিকল্পনা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা সংঘবদ্ধভাবে গেরিলা কায়দায় ভোট কেন্দ্র দখলের হুমকি দিয়েছে।’
সেনাবাহিনীকে নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে নানক বলেন,‘আপনারা দেখেছেন, বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে লাগাতার মিথ্যাচার চালাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সংবিধান ও আইন মোতাবেক সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করেছে। সেনাবাহিনী নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩৮৯ টি উপজেলায় এবং ১৮টি উপজেলায় নৌবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজে নিয়োজিত।’
নানক বলেন,‘একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট উৎসবকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বিএনপি। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ব্যাপক সহিংসতা ও অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির চক্রান্ত চালাচ্ছে। ভুয়া ব্যালট পেপার ছাপিয়ে ও নকল বুথ বানিয়ে সিল মারা নকল ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর নীলনকশা করছে তারা।’
তিনি আরও বলেন,‘সেনাবাহিনী নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন করায় বিএনপির নাশকতা পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় বিএনপি নেতারা এখন সেনাবাহিনীকে নিয়ে নানা ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য দিতে শুরু করেছেন। একটি পেশাদার সুশৃঙ্খল দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আপত্তিকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
সারাদেশে নৌকার প্রার্থীদের ওপর হামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে নানক বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ঐক্যফ্রন্ট সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় গতকাল সিলেটে কাওসার আহমেদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪ জনকে আহত করা হয়েছে, আটটি আওয়ামী লীগ অফিসে ও গাড়িবহরে হামলা করা হয়, চারটি স্থানে বোমা হামলা করা হয়। গতকাল দিনাজপুরে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে। তার হাতের দুটো আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়।’
নানক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা ৬ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। তাদের হামলায় ৪৪৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে, আওয়ামী লীগের ১৭৮টি অফিস, গাড়ি বহর ও নির্বাচনী কেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়েছে। ৫৮টি বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, ৮৮টি অফিস ও যানবাহনে আগুন দিয়েছে। সারাদেশে ৫৪টি জেলার ১৭০টি আসনে বিএনপি-জামায়াত এ ধরনের সহিংসতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। আমরা এ বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।’
টিআর/
আরও পড়ুন