শটসার্কিট থেকেই সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে আগুন
প্রকাশিত : ২২:৩৪, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভবনের নিচতলায় চিকিৎসকের কক্ষে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লাগে। পরে ওই আগুন হাসপাতাল ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ছড়িয়ে পড়ে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। আজ রোববার বিকেলে কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের কাছে জমা দিয়েছে।
এ বিষয়ে আসাদুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন রোববার বিকেলে তার কাছে পৌঁছানো হয়েছে। হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ও শিক্ষকের কক্ষ থেকে বৈদ্যুতিক শটসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তদন্ত কমিটি ধারণা করছে।
তবে এটিই যে সুনির্দিষ্ট কারণ, তা বলা যাবে না। ফায়ার সার্ভিসের একটি তদন্ত কমিটিও কাজ করছে। তারাও প্রতিবেদন দেবে। এ ছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কমিটি করেছে। সব প্রতিবেদন একসঙ্গে হলে তখন অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, হাসপাতাল ভবনের নিচতলায় কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. শাহাদৎ হোসেন রিপন এবং মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এএইচএম ফিরোজসহ কয়েকজন চিকিৎসক ও শিক্ষকের কক্ষ রয়েছে। তাদের কক্ষের পাশেই হাসপাতালের স্টোর রুমের অবস্থান।
ছুটির পর বৃহস্পতিবার আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে তারা সবাই নিজ নিজ কক্ষে তালা মেরে চলে যান। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে অধ্যাপক ডা. শাহাদৎ হোসেন অথবা অধ্যাপক ডা. এএইচএম ফিরোজের কক্ষে শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে এবং এভাবেই প্রথম আগুন লাগে। এরপর ওই আগুন অন্য শিক্ষক ও চিকিৎসকদের কক্ষ এবং স্টোর রুমে ছড়ায়। পর্যায়ক্রমে আগুন দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় কেবিন ব্লক, মহিলা, গাইনি সার্জারি ও শিশু বিভাগে ছড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই সময় হাসপাতালে এক হাজার ১৭৪ জন রোগী ভর্তি থাকলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
টিআর/
আরও পড়ুন