শেষ মুহূর্তে জমজমাট পশুর হাট
প্রকাশিত : ২০:১৪, ১০ আগস্ট ২০১৯
দুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা। আর কোরবানির এই ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা ও বিক্রেতা সবাই পশুর কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সাধ্যের মধ্যে কোরবানির পশু কিনতে পেরে অনেকে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন। অপরদিকে হাটে যাঁরা পশু নিয়ে এসেছিলেন, আজ তাদের বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর আফতাবনগর পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়- গরু, ছাগল কিনে দড়ি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকে আবার গরুর চোখ কালো কাপড়ে বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। বিক্রেতারা হাসিল ঘর পর্যন্ত গরু টেনে নিয়ে এসে টাকা বুঝে নিয়ে ক্রেতার হাতে তুলে দিচ্ছেন গরু।
মাইকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে- এই হাসিল ছাড়া কেউ গরু-ছাগল বের করবেন না। ভলান্টিয়াররা হাসিলের রশীদ নম্বরের সাথে গরু মিলিয়ে দেখে তবেই গেট পাশ দিবেন। এই সরেন সরেন, গরু আইলো, মারবো গোতা। ও ভাই, গরু দুইটার কত দাম?’
গত দুদিন বিরূপ আবহাওয়া ও বাজারের গবাদিপশুর হাটের অবস্থা বোঝার জন্য অনেকে বাজার ঘুরে দেখেছেন। ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে গবাদিপশু বেচাকেনা নিয়ে তেমন দর কষাকষি হতে দেখা যায়নি।
শনিবার দুপুরের পর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতি ও দর-কষাকষি করে গরু-ছাগল বেচাকেনা চলছে। বিক্রেতারা বলছেন, দেশি গরুর চাহিদা বেশি। দামও লাখ টাকার ওপরে। তবে দাম একটু বেশি হওয়ায় তা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। বেশিরভাগ ক্রেতারাই দেশি ও বিদেশি গরুর সংমিশ্রণে ক্রস প্রজাতির ও ছোট সাইজের গরু কেনার প্রতি ঝুঁকছেন। তবে অনেকেই পশুর দাম ও আর্থিক সঙ্গতির হিসাব মেলাতে না পেরে একাধিক হাটে ঘুরছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, এবার ভারতীয় গরু না আসায় দেশিয় ক্রস প্রজাতির গরু বেশি উঠেছে। গতবারের চেয়ে দামও একটু বেশি। দাম একটু বেশি হলেও ক্রেতারা যেভাবে হাটে আসছেন তাতে শেষের দিকে গরু খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে ধারণা করছেন। তবে গরুর তুলনায় ছাগলের বিক্রি কম।
আরকে/
আরও পড়ুন