ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর নিউমার্কেটে মিন্নি, পেলেন বিশেষ ছাড়!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মিন্নি মানেই কৌতূহলী পাঠক। মিন্নিকে এক নজর দেখতে যেমন তার নিজ এলাকা বরগুনায় ভিড় জমে যায়। ঠিক তেমনি সারাদেশের অনেক মানুষেরই চাহিদা রয়েছে তাকে একনজর দেখতে। 

কয়েকদিন আগে চিকিৎসা ও আইনি পরামর্শের জন্য বাবার সঙ্গে ঢাকায় এসেছেন মিন্নি। এরপর মিন্নিকে জামিন করানো আইনজীবীদের সঙ্গে হাইকোর্টে সাক্ষাৎ করেন। 

ইতিমধ্যে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে ফের আলোচিত হচ্ছেন মিন্নি। ঢাকায় তিনি কি করছেন, তার মানসিক অবস্থা এখন কেমন যে বিষয়ে বেশ কৌতূহলী দেশবাসী। 

জানা গেছে, ঢাকায় যেখানেই যাচ্ছেন মিন্নি সেখানেই ভিড় জমে যায়। মিন্নির ছবি তুলতে থাকে জনতা।

সম্প্রতি নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন মিন্নি। সেখানে তাকে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। মিন্নি দেখতে অনেকেই দোকান ফেলে চলে আসেন। ছবি তোলেন কেউ কেউ। আর সেসব ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন তারা।

এ সময় মিন্নির সঙ্গে তার বাবাকেও দেখা যায়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাজধানীর একটি মার্কেটে গিয়েছিলেন মিন্নি। এসময় নিজের জন্য জামা-কাপড় কেনেন মিন্নি। দোকানিরাও তাকে বিশেষ ছাড় দেন। এসময় বেশ হাসিখুশি দেখা গেছে তাকে।

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আগে সব মানুষ আমার মেয়ের দিকে অন্যরকম দৃষ্টিতে তাকাতো। কিন্তু এখন দেখলে মানুষ উৎফুল্ল হয়, তাকে সম্মান জানায়।

মিন্নির জামিন হওয়ার পর আর রিফাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সেই ভিডিও প্রকাশের পর পুরো চিত্র পাল্টে গেছে বলে জানান মিন্নির বাবা।

তিনি বলেন, মেয়েকে জামা-কাপড় কিনে দিলাম। দোকানদাররা খাওয়াতে চেয়েছে। দামে ডিসকাউন্ট দিয়েছে। আমার মেয়েকে একনজর দেখতে পুরো মার্কেটের মানুষ একত্র হয়ে গিয়েছিল সেদিন।

তিনি আরও বলেন, মানুষ শুধু জড়োই হয় না তার ছবিও তুলে। ছবি তোলার জন্য ভিড় সামলানো যায় না। আমি মনে করি এটা মানুষের সম্মান।

এই সম্মানের মর্যাদা যেন আমার মেয়ে রাখতে পারে সে জন্য আমি দোয়াপ্রার্থী।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে ১৬ জুলাই সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা-মাইঠা এলাকা থেকে পুলিশ লাইনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। এরপর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

পরদিন (১৭ জুলাই) মিন্নিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর কয়েকদফা আবেদন জানালেও নিম্ন আদালতে জামিন মেলেনি মিন্নির। পরে একই মামলায় গত ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় জামিন চেয়ে মিন্নি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি