ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

স্কুলছাত্রী রিশা হত্যা: ওবায়দুলের ফাঁসির আদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৯, ১০ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ১৬:৪৮, ১০ অক্টোবর ২০১৯

রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল হকের (৩০) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

আজ বৃহস্পতিবার আসামির উপস্থিতিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করবেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষ গত ৬ অক্টোবর রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত। কিন্তু ওই দিন পুলিশ আসামিকে হাজির করতে না পারায় ১০ অক্টোবর (আজ) রায়ের দিন ধার্য্য করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুরে রিশাকে স্কুলের সামনের ওভার ব্রিজে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় খুনি ওবায়দুল। পরে রিশাকে হাসপাতালে নিলে চারদিন পর তার মৃত্যু হয়। রিশা ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো।

পরে রিশার মা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল হককে নীলফামারি থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার বাড়ি দিনাজপুরের বিরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি রাজধানীর ইস্টার্ন মল্লিকা শপিংমলে বৈশাখী টেইলার্স নামের একটি দর্জির দোকানের কর্মচারী ছিলেন।

জানা যায়, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সে পোশাক বানাতে দেয় রিশা। ওই টেইলার্সের রসিদে বাসার ঠিকানা ও তার মায়ের মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। সেখান থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ওবায়দুল রিশাকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। পরে ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দিলে স্কুলে যাওয়ার পথে রিশাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে সে। এ নিয়ে অনেকবার রিশার মা ওবায়দুলকে সতর্ক করে। কিন্তু, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিশাকে ছুরিকাঘাত করে ওবায়দুল।

মামলার তদন্ত শেষে রমনা থানার পরিদর্শক আলী হোসেন ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে রিশার চারজন সহপাঠীসহ ২৬ জনকে স্বাক্ষী করা হয়।

২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল আদালত অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। বাদীপক্ষের ২৬ স্বাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ১১ সেপ্টেম্বর ৬ অক্টোবর মামলার দিন ধার্য করেন আদালত।
 
আই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি