আদালতে সম্রাট, সমর্থকদের বিক্ষোভ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৭, ১৫ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ১২:৩৬, ১৫ অক্টোবর ২০১৯
ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে ঢাকা মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টায় তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ।
রমনা থানার অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো পূর্বক বিশ দিনের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে সম্রাটকে একনজর দেখতে সকাল থেকেই আদালত চত্বরে ভিড় করছে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় তারা সম্রাটের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সড়কসংলগ্ন ফটক ও ভবনের মূল ফটকে অবস্থান করছেন এসব কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ মূল গেইটের সামনে থেকে তাদেরকে সরিয়ে দিতে চাইলেও সেখানেই অবস্থান করছেন তারা।
সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের এবং আরমানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ১০ দিন রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল গত ৯ অক্টোবর।
একই সঙ্গে এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের ওপরও শুনানি ছিল। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ওই দিন সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়নি। ফলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো ও রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়নি।
আরমানকে অবশ্য মাদকদ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। দুজনের রিমান্ড শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী।
গত ৭ অক্টোবর রাতে রমনা থানা পুলিশ অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় সম্রাটকে গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি ১০ দিন করে ২০ দিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আরমানকেও মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো ও দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরমান মদ্যপ অবস্থায় থাকায় তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়। আর সম্রাটকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর ওই দিনই সম্রাটের কার্যালয় রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালায় র্যাব। উদ্ধার করা হয় এক হাজার পিস ইয়াবা ও সংরক্ষণের আড়াই হাজার জিপার প্যাকেট। সম্রাটের কক্ষে একটি লাগেজ থেকে ১৯ বোতল মদ, একটি বিদেশি পিস্তল এবং পাঁচ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়।
সন্ধ্যায় র্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন