মেয়র হলে নগরবাসী ২৪ ঘণ্টাই আমাকে পাবে: তাপস
প্রকাশিত : ২০:০৩, ১৬ জানুয়ারি ২০২০
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, মেয়র নির্বাচিত হলে ঢাকাবাসীর জন্য হেল্পলাইন চালু করা হবে। যে কেউ যে কোন বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন। এতে সমস্যার সমাধান না হলে মেয়রকে অভিযোগ করা যাবে। এবং মেয়র সঙ্গে সঙ্গেই সেই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচনী প্রচারণায় রাজধানীর আজিমপুর-নিউমার্কেট এলাকার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র ৩ নম্বর গেটের সামনে সাংবাদিকদের এমন প্রতিশ্রুতির কথা জানান।
তাপস বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে মেয়র হিসেবে নয়, একজন সেবক হিসেবে ঢাকাবাসীর জন্য কাজ করে যাব। সেখানে একজন সেবক হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ২৪ ঘণ্টা ঢাকাবাসীর সেবা করব। ঢাকাবাসী আমাকে তাদের কাছে ২৪ ঘণ্টাই পাবেন। আমরা আমাদের সেবা সার্বক্ষণিক ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছাব। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন একটি সেবা প্রদানকারী সংস্থা। সুতরাং সেই সেবা প্রদানকারী সংস্থাকে ঢাকাবাসীর জন্য ২৪ ঘণ্টাই সেবা প্রদান করার জন্য আমরা নিয়োজিত রাখব।’
ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা এবং উন্নত ঢাকা- এই পাঁচ লক্ষ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘ঢাকা নগরীকে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকে শুরু করে বাসযোগ্য সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। রাস্তায় আবর্জনা মুক্ত অবস্থায় থাকবে না। মশক নিধন, সবুজায়ন এসব আমরা দৈনন্দিন ভিত্তিতে করব। ২৪ ঘণ্টা সিটি কর্পোরেশন এই কাজে নিয়োজিত থাকবে। আমাদের প্রাণের ঐতিহ্যের ঢাকা থাকবে একটি গর্বের জায়গায়।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে কখনো ঐতিহ্যবাহী ঢাকাকে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি। আমরাই প্রথম এটা করেছি। আমাদের পরিকল্পনার প্রথমেই রয়েছে ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা এবং ঐতিহ্যের যে স্বকীয়তা রয়েছে, সেটাকে প্রস্ফূটিত করা। আমরা যে মহাপরিকল্পনা নেব সেখানে ঐতিহ্যবাহী ঢাকাকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা সেভাবে কাজ করতে চাই। যে ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে তা কিভাবে পুনরুদ্ধার, পুনরুজ্জীবিত করতে পারি এবং বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পারি সেটাই মূল লক্ষ্য থাকবে।’
গণসংযোগে তাপসের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনিবাহী সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।
এমএস/এসি
আরও পড়ুন