ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

করোনায় মৃতদের দাফনে কাজ করছে কোয়ান্টাম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৪, ২৩ মে ২০২০ | আপডেট: ১৭:২৮, ২৩ মে ২০২০

করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যক্তির দাফন কাজে সহায়তা করছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম। এমন দুর্যোগে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় স্বজনরা দূরে সরে গেলেও স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।

ইতোমধ্যে দুই শতাধিক করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির মৃতদেহ দাফন ও সৎকার করেছেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা। মৃতদের দাফনে সারাদেশে ফাউন্ডেশনের প্রায় তিনশ স্বেচ্ছাসেবি এভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের দাফন কার্যক্রমের সমন্বয়ক সালেহ আহমেদ জানান, করোনায় নিহতদের লাশ ফেলে স্বজনদের পালিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই সব মৃতদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। করোনা পজিটিভ ও করোনা সাসপেক্টেট মরদেহ সৎকারে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করা হয়। গত ৭ এপ্রিল থেকে ওই স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ শুরু করেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিধি মেনে হাসপাতাল বা বাসায় গিয়ে মৃতদেহ গোসল করানো, কাফনের কাপড় পরানোসহ পুরো দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন স্বেচ্ছাবেসকরা।

কোয়ান্টামের দাফন কার্যক্রমের সমন্বয়ক ছালেহ আহমেদ বলেন, ‘গত ৭ এপ্রিল থেকে আমরা দাফন কার্যক্রম শুরু করি। ২১ মে পর্যন্ত  সারা দেশে আমরা ২০৪ জন মৃতদেহ দাফন ও সৎকার করেছি।  এর মধ্যে ঢাকায় ১৭১ জন ও বাকিরা রাজশাহী, বরিশাল, বগুড়া, রংপুর, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। রাজধানীর বাইরে সারা দেশকে ১৮টি জোনে ভাগ করে আমাদের দাফন কার্যক্রম চলছে। ধর্মীয় বিধান মেনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণ অনুযায়ী দাফন বা সৎকারের কাজ  করে যাচ্ছি আমরা। শুধু মুসলিমই নয়, সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্যেও রয়েছে আমাদের বিশেষ দল। এছাড়া, নারীদের দাফনে সহযোগিতা করছেন ১২ জনের একটি নারী দল।’

তিনি বলেন, বিধি মেনে হাসপাতাল বা বাসায় গিয়ে মৃতদের ধোয়ানো, ওযু করানো, কাফনের কাপড় পরানো সম্পন্ন করি আমরা। এর পর ডব্লিউএইচও-র নির্ধারিত বিশেষ ব্যাগে লাশ প্যাকেট করে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় সরকার নির্ধারিত কবরস্থানে। এরপর জানাজা পড়ানো হয় সাধারণ লাশের মতোই। কবরস্থ করার পর মৃতের জন্যে আমরা আন্তরিক দোয়া করি।

সালেহ আহমেদ জানান, কবরস্থানে মৃতের পরিবারের হাতেগোনা কয়েকজন থাকেন। কখনো কখনো কেউই থাকেন না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দাফন কার্যক্রমের সৎকার কাজের পুরো প্রক্রিয়ার ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, সেফটি গ্লাস, ফেস শিল্ড, সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস, হেভি গ্লাভস, নেক কভার ও মরদেহের কাফনের কাপড় সবকিছুই কোয়ান্টামের নিজস্ব অর্থায়নে সংগ্রহ করা হয়। মরদেহ বহনের জন্য বিশেষ বডি ব্যাগসহ সুরক্ষার জন্যে তিন ধরনের জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি মরদেহ সৎকারের পর সুরক্ষার জন্য পিপিইসহ পরিধেয় অন্যান্য সামগ্রী কবরস্থানেই পুড়িয়ে ফেলা হয়।

প্রয়োজনে যোগাযোগ করা যেতে পারে এই নম্বরে-সালেহ আহমেদ-01306413163 ও মোশতাক আহমেদ-01820250014 ও মারুফ-01713424301

এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি