ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

প্ল্যাজমা থেরাপি ব্যবহার না করার পরমর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:০৯, ৩০ মে ২০২০ | আপডেট: ১৮:১৫, ৩০ মে ২০২০

এবার করোনা রোগীর ক্ষেত্রে প্ল্যাজমা থেরাপি ব্যবহার না করার পরমর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই সংস্থাটির সর্বশেষ গত বুধবার করোনা গাইডলাইনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাইরে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে প্লাজমা থেরাপিও ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। তবে রেমডেসিভির ব্যবহার না করার এই পরামর্শ যখন এসেছে তখন বাংলাদেশও বেশ কিছু ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ওষুধটির উৎপাদন শুরু করেছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে থেরাপিও জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

এর আগে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এ সংস্থাটি কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ারোধী ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এবং ক্লোরোকুইন ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দেয়। সংস্থাটি বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ মানুষের শরীরে মৃদু এবং ৪০ শতাংশের মাঝারি উপসর্গ দিয়ে রোগটির শুরু হয়। এছাড়া ১৫ শতাংশের গুরুতর আকার ধারণ করে; যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। অন্য ৫ শতাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়; যারা আগে থেকে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত।

জানা যায়, প্রাণঘাতি এ ভাইরাসের চিকিৎসায় কোনও ধরনের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বলছে, তাদের পূর্বের গাইডলাইনে পরিবর্তন আনা হয়নি। পূর্ববর্তী এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানসম্মত গাইডলাইনের সঙ্গে সমন্বয় করে গাইডলাইনগুলো তৈরি করা হয়েছে। রেমডেসিভির এবং অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ব্যাপারে কয়েকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে বিদ্যমান গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। করোনার চিকিৎসায় এসব ওষুধের কোনোটিরই উচ্চমানের ইতিবাচক ফল পাওয়ার প্রমাণ মেলেনি। এমনকি এসব ওষুধের জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।

প্রায় পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। চূড়ান্ত ভ্যাকসিন পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগতে পারে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। 

এমএস/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি