ঢাকা, বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪

করোনামুক্ত হলেন ভোক্তা অধিকারের শাহরিয়ার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪৭, ৩ জুন ২০২০

অবশেষ করোনা থেকে বেঁচে ফিরলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। চতুর্থবারের নমুনা পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ আসায় তাকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় একুশে টিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মাসুম আরেফিন। 

তিনি বলেন, ‘চলমান সংকটাবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণের অভিযান চলাকালীন গত ১৩ মে করোনায় আক্রান্ত হন মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। পরে হোম কোয়ারেন্টাইন এবং হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তিন দফা নমুনা পরীক্ষায় ফল পজেটিভ আসলেও শেষবারে নেগেটিভ এসেছে।’

মাসুম আরেফিন বলেন, ‘ফল নেগেটিভ আসলেও বাড়তি সতর্কতায় এখনও হাসপাতালে আছেন মনজুর মোহাম্মাদ শাহরিয়ার। সেখানে ফুসফুস সংক্রমণের চিকিৎসা চলছে। আশা করা যায় দু’একদিনের মধ্যে তিনি বাসায় ফিরবেন।’ 

এর আগে রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে করোনার ঝুঁকি নিয়েই রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে নিয়মিত অভিযান চালান শাহরিয়ার। আক্রান্তের দু’দিন আগে থেকে জ্বর অনুভব করছিলেন তিনি। পরে ১৩ মে নমুনা পরীক্ষা করলে তার শরীরে করোনার সংক্রমণ চিহ্নিত হলে হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করেন তিনি।  

পরে ২৬ মে দ্বিতীয় দফা নমুনা পরীক্ষাতেও ফলাফল পজেটিভ আসার সঙ্গে ফুসফুসে ২০ শতাংশ সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরদিন থেকে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। শরীর ব্যথাসহ বেশকিছু সমস্যা দেখা দেয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় ২৮ মে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। 

অবস্থার উন্নতি হলে শাহরিয়ারকে আইসোলেনশনে নেয়া হয়। পরে ৩০ মে তৃতীয় দফা নমুনা পরীক্ষা করা হলে তার ফলও পজেটিভ আসে বলে জানান শাহরিয়ার নিজেই। সবশেষ ২১ দিন পর আজ চতুর্থ দফা পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ আসে। 

অন্যদিকে, শাহরিয়ার আক্রান্ত হওয়ায় তার সংস্পর্শে আসা স্ত্রী-সন্তানদের শরীরেও করোনা শনাক্ত হয়। বর্তমানে তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। 

তিনি ছাড়াও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বাবুল কুমার সাহাসহ ১৬ জন করোনার শিকার হন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫ জন সুস্থ হওয়ায় বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১০ জন। 

এআই//এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি