ব্রাজিলে ফের রেকর্ড আক্রান্ত, প্রাণহানি সাড়ে ৩২ হাজার  

করোনায় মৃত্যুকূপে পরিণত দেশগুলোর অন্যতম ব্রাজিলে আবারও সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে। থেমে নেই প্রাণহানির হারও। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে। 

সর্বোচ্চ এই সংক্রমণে ব্রাজিলে আক্রান্ত ৬ লাখের কোটায়। মৃত্যুর মিছিল বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার পেরিয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে পূর্ব প্রস্তুতির অভাব ততটাই স্পষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ভেঙে পড়ার উপক্রম চিকিৎসা ব্যবস্থা।

ব্রাজিলের এই করুণাবস্থা ভোগাচ্ছে সহগোত্রীয় দেশগুলোকেও। পেরু, চিলি, এল সালভেদর, গুয়েতেমালা ও নিকারগুয়া, আর্জেন্টিনা, পানামার মতো দেশগুলাতে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, স্বজন হারা হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ। 

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ২৬৩ জনের দেহে মিলেছে করোনা সংক্রমণ। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ছুঁই ছুঁই। নতুন করে প্রাণ গেছে ১ হাজার ২০৯ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৫৪৭ জনে ঠেকেছে। 

তবে কম নয় সুস্থতার হারও। গত একদিনে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে আক্রান্তদের মধ্যে ২০ হাজারের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। এতে করে মোট বেঁচে ফেরার সংখ্যা ২ লাখ ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

মৃত্যুতে ব্রাজিল এখন ইতালির ঘাড়ে শ্বাস ফেলছে। এছাড়া, সামনে রয়েছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ক্রমেই নিয়ন্ত্রণে আসছে করোনা। ফলে, শিগগরই দেশটিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে ব্রাজিল। আর যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। যা ভাইরাসটিতে কোন দেশে সর্বোচ্চ প্রাণহানি। 

এদিকে আক্রান্ত ও প্রাণহানির এমন হারে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কাই যেন বাস্তব রূপ দেখতে পাচ্ছে ব্রাজিল। সংস্থাটি গতমাসের শেষের দিকে বলেছিল, ‘চলমান অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী আগস্টের মধ্যে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে মৃতের সংখ্যা সোয়া লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে করোনা।’

কিন্তু বাস্তবচিত্র আরও ভয়াবহ। আগামী আগস্ট মাস আসতে আসতে প্রাণহানি দেড় লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। 

এদিকে, লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ পেরুতে আক্রান্ত ১ লাখ প্রায় ৭৯ হাজার, যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ৪ হাজার ৮৯৪ জনের। চিলিতে সংক্রমিতের সংখ্যা ১ লাখ সাড়ে ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

মেক্সিকোতে আক্রান্ত লাখ ছাড়িয়েছে, প্রাণহানি ১২ হাজার ছুঁই ছুঁই। ইকুয়েডরে আক্রান্ত ৪১ হাজারের কাছাকাছি। প্রাণ গেছে সেখানে ৩ হাজার ৪৮৬ জনের।

আর্জেন্টিনায় ১৯ হাজার ২৬৮ জনের আক্রান্তে মারা গেছে ৫৮৩ জন। এছাড়াও পানামায় সাড়ে ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে সংক্রমিতের সংখ্যা, ৩৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে।  

এআই//