বিশ্বে আক্রান্ত আরও সোয়া লাখ, মৃত্যু ৩ লাখ ৮৭ হাজার
প্রকাশিত : ১১:১৭, ৪ জুন ২০২০
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের উৎপত্তির একশ চুয়ান্নতম দিন আজ। ইতিমধ্যেই ভাইরাসটির ভুক্তভোগী সাড়ে ৬৫ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই বেঁচে ফিরলেও না ফেরার দেশে ৩ লাখ প্রায় ৮৭ হাজার মানুষ।
যার সবচেয়ে ভুক্তভোগী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে করোনার তাণ্ডব চালিয়েছে গোটা ইউরোপে। বর্তমানে সেখানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলে করোনার নতুন হটস্পট হয় লাতিন আমেরিকা। যেখানে ষাট হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার সবচেয়ে ভুক্তভোগী ব্রাজিল।
ভাল নেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোও। আশঙ্কা করা হচ্ছে করোনার পরবর্তী কেন্দ্র হতে চলেছে এ অঞ্চল। যার সবচেয়ে ভুক্তভোগী নরেন্দ্র মোদির দেশ ভারত। যেখানে আক্রান্ত ২ লাখ ১৭ হাজারের কাছাকাছি। সংক্রমণ তালিকায় শীর্ষ সাতে জায়গা হয়েছে দেশটির। প্রাণ গেছে সেখানে ৬ হাজারের বেশি মানুষের।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার শিকার এখন পর্যন্ত ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৬৯৫ জন মানুষ। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ লাখ ২১ হাজার ৪১৩ জন। নতুন করে প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৯২৯ জনের। এ নিয়ে করোনারাঘাতে না ফেরার দেশে বিশ্বের ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৮ জন মানুষ। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন প্রায় পৌনে ৩২ লাখ মানুষ।
এর মধ্যে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্ত বেড়ে ১৯ লাখ ১ হাজার ৭৮৩ ২০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণহানি বেড়ে ১ লাখ ৯ হাজার ১৪২ জনে ঠেকেছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের দেশ ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ছুঁই ছুঁই। দেশটিতে করোনায় প্রাণ গেছে ৩২ হাজার ৫৪৭ জনের।
আক্রান্তের তালিকায় তিনে থাকা রাশিয়ায় করোনার শিকার ৪ লাখ সাড়ে ৩২ হাজারের বেশি মানুষ। প্রাণহানি হয়েছে পাঁচ হাজার ২১৫ জনের।
নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ প্রায় ৮৭ হাজার ৪০৬ জন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ২৭ হাজার ১২৮ জনের।
প্রাণহানিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ ২ লাখ প্রায় ৮০ হাজার ছুঁই ছুঁই। মৃতের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭২৮ জনে ঠেকেছে।
সাড়ে ৩৩ হাজারের বেশি প্রাণহানি হয়েছে ইতালিতে। যেখানে আক্রান্ত ২ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৬ জন।
এদিকে, সংক্রমণে চীনকে ছাড়িয়েছে পাকিস্তান। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত। প্রাণ গেছে সেখানে ১ হাজার ৭৭০ জনের।
প্রকট আকার ধারণ করছে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশেও। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এখানে বাড়ছে সংক্রমণ ও প্রাণহানি। প্রতিদিনই রেকর্ড আক্রান্তে সংক্রমণ ৫৫ হাজার ১৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৪৬ জনের। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫৯০ জন।
এমন অবস্থার পরও খুলে দেয়া হয়েছে অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চালু হয়েছে গণপরিবহন। এতে করে করোনার সংক্রমণ আরও ব্যাপক বিস্তারের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আবারও মুখ খুলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও। সংস্থাটির পরিচালক মাইকেল রায়ান ভার্চুয়াল জানিয়েছেন, ‘শিগগিরই করোনা দুর্বল হয়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এটি এখনও অনেক শক্তিশালী।’
এআই//