ব্রাজিলে চূড়ান্ত ট্রায়ালে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন
প্রকাশিত : ১২:৪৬, ৫ জুন ২০২০
ডাব্লিউএইচও জানিয়েছে, প্রতিষেধক ছাড়া করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব! এ পর্যন্ত বিশ্বে ১০০টি প্রতিষেধকের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। এর মধ্যে ৪টির ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি। এগুলোর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন আর চিকিৎসায় প্রয়োগ শুরু হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই ৪টির মধ্যে চূড়ান্ত ট্রায়ালের সবচেয়ে এগিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি ভ্যাকসিন ChAdOx1 nCoV-19।
করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রাজিল। এর মধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আর অ্যাস্ট্রাজেনেকা পিএলসি’র যৌথভাবে পরীক্ষিত প্রতিষেধকটির ‘হিউম্যান ট্রায়াল’-এর অনুমোদন দিল ব্রাজিল।
ব্রাজিলে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ১৫ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সে দেশে ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে। এই পরিস্থিতিতে সেখানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি ChAdOx1 nCoV-19-এর চূড়ান্ত ‘হিউম্যান ট্রায়াল’-এর অনুমোদন দিয়েছে সে দেশের সরকার।
চূড়ান্ত সাফল্যের প্রায় দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে অক্সফোর্ডের এই ChAdOx1 nCoV-19 প্রতিষেধকটি। এবার করোনা হয়নি, এমন ১ হাজার ব্রাজেলিয়ান স্বেচ্ছাসেবক বেছে নিয়ে তাঁদের উপর অক্সফোর্ডের প্রতিষেধকটির চূড়ান্ত ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ হবে। এমনটাই জানিয়েছে ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অব সাও পাওলো।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল মানুষের উপর তাদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সেই সময়ে ৫১০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে ChAdOx1 nCoV-19-এর কার্যকারিতা।
তখন প্রতিষেধক প্রয়োগের পর স্বেচ্ছাসেবকের পরবর্তী ১৫ দিন বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। এই সময়ে তাদের কোনও রকম ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি বলেই জানিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এবার মানুষের শরীরে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার দিকটি ভাল করে পরখ করে নিতে চাইছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
এএইচ/