করোনায় ৪ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু
প্রকাশিত : ১০:৪৬, ৭ জুন ২০২০
শুরুটা যখন হয়েছিল, কেউ হয়তো ভাবতেই পারেনি ভাইরাসটি এতটা ভয়াবহতা দেখাবে। সকল গবেষণা আর আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়ে উৎপত্তির মাত্র ১৫৭তম দিনে বিশ্বের ৪ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কাড়ল মহামারি করোনা।
যার সবচেয়ে ভয়ানক রূপ দেখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। যা চলতি বছরের প্রথম দিকে গোটা ইউরোপকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে। পরে তা আমেরিকায় জেঁকে বসে। যার তাণ্ডবে লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে।
তবে, প্রতিষেধক আবিষ্কারে এখনও কাঙ্খিত আশার আলো দেখা যায়নি। বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ ও প্রাণহানি ঠেকাতে ভ্যাকসিন অথবা টিকা তৈরির খবর প্রকাশ পেলেও কোনটাই কার্যকরি হয়নি। ফলে, ভাইরাসটির দাপট কবে থামবে তা এখনও নিশ্চিত হতে পারছে না চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
আজ রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী বিশ্বের ৬৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩৬ জন মানুষ। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার শিকার হয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৭৩৭ জন। নতুন করে প্রাণ গেছে ৪ হাজার ১৭৭ জনের। এ নিয়ে বিশ্বের ৪ লাখ ১ হাজার ৬২৩ জন মানুষের প্রাণ কাড়ল ভাইরাসটি। আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৪ লাখ ১১ হাজার ২৮১ জন। অর্থাৎ, সংক্রমণের প্রায় অর্ধেক মানুষই সুস্থতা লাভ করেছেন।
এর মধ্যে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছুঁই ছুঁই। ভাইরাসটির শিকার হয়ে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ৯৬ জন মানুষ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের দেশ ব্রাজিলে সংক্রমণ পৌনে ৭ লাখ মানুষের দেহে ছড়িয়েছে। যেখানে প্রাণ গেছে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষের।
আক্রান্তের তালিকায় তিনে থাকা রাশিয়ায় ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার তাণ্ডব। যার ভুক্তভোগী দেশটির ৪ লাখ প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ। সে তুলনায় প্রাণহানি কম পুতিনের দেশে। যার সংখ্যা ৫ হাজার ৭২৫ জনে ঠেকেছে।
নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে আক্রান্ত এখনও কম করে হলেও বাড়ছে সংক্রমণ। তবে, অনেকটা মৃত্যু শূন্য এখন ইউরোপের দেশটিতে। যেখানে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটির ভুক্তভোগী ২ লাখ প্রায় ৮৮ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ২৭ হাজার ১৩৫ জনের।
প্রাণহানিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ ২ লাখ ৮৫ হাজারের কাছাকাছি। মৃতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪০ হাজার।
ইউরোপের প্রথম আঘাত হানা ইতালিতে সংক্রমণ ২ লাখ প্রায় ৩৫ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার ৮৪৬ জন মানুষের।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ২ লাখ সাড়ে ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে। সংক্রমণ তালিকায় শীর্ষ ছয়ে থাকা দেশটিতে প্রাণহানি ৭ হাজার ছুঁই ছুঁই।
আর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত করোনার শিকার ৬৩ হাজার ২৬ জন। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৮৪৬ জন মানুষ। আর আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৩ হাজার ৩২৫ জন।
এআই//