ভারতে আক্রান্ত আড়াই লাখ ছুঁই ছুঁই, কমেছে সুস্থতার হার
প্রকাশিত : ১১:৪৯, ৭ জুন ২০২০
দফায় দফায় লকডাউন ঘোষণার পরও করোনা সংক্রমণের ব্যাপকতা হ্রাস পাচ্ছে না ভারতে। প্রতিদিনের রেকর্ড আক্রান্তে যার সংখ্যা বেড়ে এখন আড়াই লাখ ছুঁই ছুঁই। না ফেরার দেশে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষ।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৯ হাজার ৮৮৭ জনের দেহে চিহ্নিত হয়েছে করোনা। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে, নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ২৯৪ জন। এ নিয়ে ভারতে প্রাণহানি ৬ হাজার ৬৪২ জনে ঠেকেছে।
সরকারি তথ্যানুসারে শুক্রবারের তুলনায় করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের হারে কিছুটা অবনতি হয়েছে। শুক্রবার যেখানে দেশে ৪৮ দশমিক ২৭ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েও পরে সুস্থ হয়েছেন দেখা যাচ্ছিল, সেখানে শনিবার সেই হার কমে ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশে নেমেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১ মে থেকেই দেশে অত্যন্ত দ্রুতহারে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ওই দিন থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন্ন রাজ্য থেকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে চালু হয়েছে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। মনে করা হচ্ছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের মাধ্যমেই লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে কপালে ভাঁজ পড়ছে সকলের। ইতিমধ্যেই দিল্লি এবং গুজরাটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ অঙ্কের ঘর ছুঁয়ে ফেলেছে। ওদিকে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশেও মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার পেরিয়ে গেছে।
দেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মহারাষ্ট্রের মানুষ। ওদিকে সক্রিয় করোনা রোগীর হিসাবে এখন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। যদিও মোট আক্রান্তের বিচারে দিল্লির আগে রয়েছে দেশের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ু।
আর মৃত্যুর পরিসংখ্যানের হিসাবে গুজরাট রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে এবং তিনি দিল্লি। তবে মোট করোনা আক্রান্ত, সক্রিয় করোনা রোগী এবং করোনায় মৃত্যু, সবদিক থেকে বিচার করেই সব রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্রই।
এদিকে করোনাকে রুখতে দেশে ২৫ মার্চ থেকে টানা লকডাউন জারি করায় মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। তাই এবার ধীরে ধীরে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করে করোনাকে সঙ্গে নিয়েই জীবন শুরু করার ভাবনা ভেবেছে কেন্দ্রিয় সরকার।
এআই//