করোনার উপসর্গহীন রোগীদের ব্যাপারে ৫ তথ্য
প্রকাশিত : ০৯:৫৪, ১৪ জুন ২০২০
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মানুষের হাঁচি-কাশি, থুতু, মুখের লালা বা সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনের শরীরে সংক্রমিত হয়। সেক্ষেত্রে আক্রান্ত হলে সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। তবে গবেষকরা এমন কিছু ঘটনা খুঁজে পেয়েছেন, যেখানে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হলেও আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা যায়নি। কিন্তু এসব উপসর্গহীন রোগীরা অন্যদেরকে সংক্রমিত করতে ভূমিকা রাখছেন।
যেসব ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অনেক দিন আগে, কিন্তু তাদের কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়নি অর্থাৎ অসুস্থ হননি, তাদেরই উপসর্গহীন বা অ্যাসিম্পটমেটিক রোগী বলা হচ্ছে। অ্যাসিম্পটমেটিকের সঙ্গে প্রি-সিম্পটমেটিক রোগীর পার্থক্য রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর উপসর্গ দেখা দিতে সাধারণত বেশ কিছুদিন সময় লাগে। সেক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগ পর্যন্ত এ ধরনের রোগীকে বলা হচ্ছে প্রি-সিম্পটমেটিক। এরাই বেশি মাত্রায় করোনা ছড়িয়ে যাচ্ছেন।
অ্যাসোসিয়েশন অব পিজিশিয়ানস অব পাকিস্তানি ডিসেন্ট অব নর্থ আমেরিকার সভাপতি ডা. নাহিদ উসমান বলেন, ‘উপসর্গহীনদের সাধারণত স্ক্রিনিং করা হয় না, অন্তত যুক্তরাষ্ট্রে হচ্ছে না। তারা অবশ্যই রোগ ছড়াতে পারেন।’ উপসর্গহীনদের মাধ্যমে করোনা ছড়াতে পারে এ ধারণা বজায় রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।
সিম্পটমেটিক (উপসর্গযুক্ত) ও প্রি-সিম্পটমেটিক রোগীদের মতো অ্যাসিম্পটমেটিক রোগীরাও হাঁচি, কাশি, থুতু বা সরাসরি শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে করোনার বিস্তার ঘটাতে পারেন। ইউসিএলএ’র স্কুল অব পাবলিক হেলথের প্রফেসর অ্যানি রিমোইন উপসর্গহীন রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন।
প্রফেসর অ্যানি রিমোইন বলেন, ‘আপনি যখন কথা বলেন তখন কিছুটা হলেও থুতু ছিটান। আপনি নাক ঘষবেন, মুখ স্পর্শ করবেন, চোখ ডলবেন, তারপর অন্য পৃষ্ঠতল স্পর্শ করবেন। আপনি যদি আক্রান্ত থাকেন, তবে সেখান থেকেই অন্যদের ভাইরাস ছড়িয়ে দেবেন।’
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে বার বার সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া, ব্যবহার্য জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত রাখা, ভিড়ের মধ্যে গেলে অবশ্যই মুখে মাস্ক পরাসহ যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া, কারও শরীরে উপসর্গ দেখা দিলে তার কাছ থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখা এবং অপরিষ্কার হাতে চোখ-মুখ স্পর্শ থেকেও বিরত থাকতে বলেছেন গবেষকরা।
এএইচ/