২১ জুনের সূর্যগ্রহণে বিদায় হবে করোনা, দাবি বিজ্ঞানীর!
প্রকাশিত : ০৮:৩৬, ১৬ জুন ২০২০ | আপডেট: ০৮:৪৪, ১৬ জুন ২০২০
প্রলয় সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসকে নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। কীভাবে এলো এই মারণঘাতী ভাইরাস? তা বের করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী ও ভাইরোলজিস্টরা। কেউ কেউ বলেছেন, রাসায়নিক গবেষণাগারে তৈরি হয়েছে করোনা জৈব মারনাস্ত্র। আবার অন্যপক্ষ দাবি করেছেন, প্রকৃতি থেকে স্বাভাবিক নিয়মেই এই নতুন ধরনের ভাইরাসটির জন্ম। তবে এর মধ্যে নতুন তথ্য দিলেন ভারতের এক বিজ্ঞানী। তিনি জানালেন করোনার জন্ম এক সূর্যগ্রহণ থেকে, আবার বিদায়ও হবে আরেক সূর্যগ্রহণ দিয়ে।
এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেন ভারতের চেন্নাইয়ের এক বিজ্ঞানী। তিনি বললেন, কোনো গবেষণাগার বা পরিবেশ নয়, কোভিড-১৯র জন্ম রহস্যের সঙ্গে সূর্যগ্রহণের যোগাযোগ রয়েছে। কবে এই ভাইরাসের দাপট শেষ হবে, তা নিয়েও আভাস দিয়েছেন এই বিজ্ঞানী।
পারমাণবিক ও ভূ-বিজ্ঞানী ড. কেএল সুন্দর কৃষ্ণা চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। তার দাবি, করোনা ভাইরাসের সঙ্গে সূর্যগ্রহণের যোগসূত্র রয়েছে। মহাজাগতিক ঘটনার ফলাফল এই মহামারি। মহাকাশ থেকেই এসেছে এই মারণ ভাইরাসটি।
করোনা বিস্তার সম্পর্কে বিজ্ঞানী কৃষ্ণা বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ছিল সূর্যগ্রহণ। তারপর থেকেই এমন একটা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রমম করোনাভাইরাসের সংক্রমণের খবর মেলে।
বিজ্ঞানী ড. কেএল সুন্দর কৃষ্ণার দাবি, সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্তরে রাসায়নিক বদল হয়েছিল। আর তার থেকেই এই ভাইরাসের জন্ম। আবার পরবর্তী সূর্যগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই পৃথিবী থেকে বিলীন হয়ে যাবে এই করোনাভাইরাস দাবি ওই বিজ্ঞানীর।
এই বিজ্ঞানীর দাবি, আগামী ২১ জুন একই সঙ্গে সূর্যের বলয়গ্রাস ও পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হবে। সেদিনই পৃথিবীতে এই জীবাণুর দাপট শেষ হবে।
ড. কৃষ্ণার কথায়, সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তড়িতাহত কণাদের মধ্যে একটা বড়সড় রাসায়নিক বদল হয়েছিল। এমন এক বায়ো-নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকশন যার কারণে নিউট্রনের বদল শুরু হয়। এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয় যাতে করোনাভাইরাসের নিউক্লিয়াস তৈরি হয়। এই বায়ো-নিউক্লিয়ার ইন্টার্যাকশনই ভাইরাস তৈরির অন্যতম কারণ। এই স্তরটিকে বলা হয় ‘ডি-লেভেল’। তবে এই স্তরে কিভাবে ভাইরাস তৈরি হতে পারে তার কোনো ধারণাই দিতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।
এএইচ/