বিশ্বে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত, মৃত্যু ৪ লাখ ৬২ হাজার 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, লাতিন আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার উচ্চ সংক্রমণহারে বিশ্বে আবারও একদিনে রেকর্ড আক্রান্ত হয়েছে। এতে করে করোনাক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৮৭ লাখ ছাড়িয়েছে। ভাইরাসটির শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ লাখ প্রায় ৬২ হাজার মানুষ। যদিও আক্রান্তদের অর্ধেকেরও বেশি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। 

অন্যদিকে, হাতেগোনা কয়েকটি দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও মুক্ত হচ্ছে না পুরোপুরি। এমনকি নিয়ন্ত্রণে আসা উৎপত্তিস্থল চীনে দ্বিতীয় দফা আঘাত হানতে যাচ্ছে ভাইরাসটি। কম করে হলেও প্রতিদিনই সেখানে নতুন করে আক্রান্তের খবর আসছে গণমাধ্যমগুলোতে। 

আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিশ্বের ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৪৫ জন মানুষ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৮৭ লাখ ৫০ হাজার ৪৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে আরও ৫ হাজার ৬৬ জনের। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৬১ হাজার ৮২০ জনে ঠেকেছে। আর সুস্থ হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল ছেড়েছেন সোয়া ৪৬ লাখের মতো মানুষ।

এর মধ্যে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৩ লাখে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৪০৭ জন মানুষের। 

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও প্রাণহানির দেশ ব্রাজিলে গত একদিনেই ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ ভাইরাসটির শিকার হয়েছেন। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৪৯ হাজার ৯০ জনে ঠেকেছে। 

আক্রান্তের তালিকায় তিনে থাকা রাশিয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৫ লাখ ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৮৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। 

সংক্রমণে চারে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে সংক্রমণ এখন চার লাখ ছুঁই ছুঁই। প্রাণহানি ঘটেছে ১২ হাজার ৯৭০ জনের। 

যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ ৩ লাখ ২ হাজারের কাছাকাছি। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ হাজার ৪৬১ জনে দাঁড়িয়েছে। 

এদিকে, টানা দশদিন মৃত্যু শূন্যের পর স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড মৃত্যৃ হয়েছে। শুক্রবার ১ হাজার ১৭৯ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এতে করে মৃতের সংখ্যা ২8 হাজার ৩১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আর করোনার ভুক্তভোগী ২ লাখ প্রায় ৯২ হাজার ৬৫৫ জন মানুষ। 

আক্রান্ত আড়াই লাখ ছুঁই ছুঁই লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে। মৃত্যু হয়েছে সেখানে ৭ হাজার ৬৬০ জনের।

ইউরোপে প্রথম আঘাত হানা ইতালিতে ২ লাখ প্রায় ৩৮ হাজরের বেশি মানুষ করোনার শিকার। এর মধ্যে পৃথিবী ছেড়েছে ৩৪ হাজার ৫৬১ জন মানুষ। 

চিলিতে সংক্রমণ ২ লাখ ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৯৩ জনের। 

মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক দেশ ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে। প্রাণ গেছে ৯ হাজার ৩৯২ জনের।

জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ সাড়ে ৯০ হাজার অতিক্রম করেছে। এখন পর্যন্ত ইউরোপের দেশটিতে ৮ হাজার ৯৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ মেক্সিকো। যেখানে সংক্রমণ ১ লাখ ৭০ হাজার পেরিয়েছে। প্রাণহানি এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।  

দক্ষিণ এশিয়ার আরেক ভুক্তভোগী পাকিস্তানে আক্রান্ত ১ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২২৯ জনের। 

আর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৫৩৫ জনে জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ৩৮৮ জনের। আর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৪২ হাজার ৯৪৫ জন।  
 
এআই//