করোনায় আরও ৩৯ জনের মৃত্যু (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:৩৯, ২১ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৫:১৫, ২১ জুন ২০২০
দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন আরও ৩৯ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন এক হাজার ৪৬৪ জন।একই সময়ে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৫৩১ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল এক লাখ ১২ হাজার ৩০৬ জনে।
রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
দেশজুড়ে ৬০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে বুলেটিনে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ হাজার ৭১০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৫৮৫টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ছয় লাখ ১২ হাজার ১৬৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৫৩১ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ১২ হাজার ৩০৬ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৯ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন এক হাজার ৪৬৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৮৪ জন। সব মিলিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা এখন ৪৫ হাজার ৭৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের পুরুষ ৩৫ জন এবং নারী চারজন। এদের মধ্যে ০ থেকে ১০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব ছয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১২ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২ জন, ষাটোর্ধ্ব চারজন, সত্তরোর্ধ্ব দুজন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন। ৩৩ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং ছয়জন বাসায়। এদের ১৬ জন ঢাকা বিভাগে, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগে, চারজন খুলনা বিভাগে, দুজন রাজশাহী বিভাগে, চারজন বরিশাল বিভাগে এবং একজন করে রংপুর ও সিলেট বিভাগে মারা গেছেন।
রোববারের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত রোগী শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৬৩১ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ১৯ হাজার ৮১৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৫৬ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন সাত হাজার ৬২৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১২ হাজার ১৯০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৮১৯ জনকে এবং এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৫৮৩ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ১৩২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৭৬ হাজার ৩৭১ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬৩ হাজার ২০৫ জন।
বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান ডা. নাসিমা।
এদিকে আজ রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিশ্বের ১ লাখ ৫৮ হাজার ১২৬ জন মানুষ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৮৯ লাখ ৮ হাজার ৫৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে আরও ৪ হাজার ৪৪৬ জনের। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৬ জনে ঠেকেছে। আর সুস্থ হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল ছেড়েছেন সোয়া ৪৭ লাখ ৩৯ হাজারের মতো মানুষ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এমবি//