করোনায় রক্তের ‘এ’ গ্রুপে ঝুঁকি বেশি হলেও ‘ও’ গ্রুপে কম
প্রকাশিত : ১৬:৫৯, ২১ জুন ২০২০
করোনা সংক্রমিত হলে তা শরীরে কতটা মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে তা নির্ভর করে মানুষের রক্তের ধরনের উপরেও। এমন একটি সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন ইউরোপের একদল গবেষক। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল মেডিসিনে তাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। খবর ডয়চে ভেলে’র।
করোনায় আক্রান্ত হলেও অনেকের শরীরের কোনো লক্ষণই প্রকাশ পায় না। আবার কেউ কেউ সাধারণ সর্দি, জ্বরে ভুগেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটছে মৃত্যু। মানুষের শরীরে একই ভাইরাসের এত ধরনের আচরণ কেন? এর সঙ্গে কি রক্তের ধরনের কোনও সম্পর্ক আছে?
জার্মানি, ইতালি, স্পেন, ডেনমার্কসহ আরও কয়েকটি দেশের গবেষকরা মিলে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজেছেন। তারা বিভিন্ন দেশের কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের উপর পরীক্ষা চালিয়েছেন। তাদের গবেষণার ফলাফল বলছে আক্রান্তদের শারীরিক ঝুঁকির মাত্রা কেমন হবে তার সঙ্গে রক্তের টাইপ বা ধরনের একটি সম্পর্ক রয়েছে। যাদের রক্তের ধরন ‘এ’ তারা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।
মানুষের রক্তকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়: এ, বি, এবি এবং ও। গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী ‘এ’ রক্ত বহনকারীদের কোভিড-১৯ এ মারাত্মক ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ৪৫ ভাগ বেশি। অন্য দিকে ‘ও’ রক্তধারীদের এমন ঝুঁকি ৩৫ ভাগ কম। গবেষকরা বলছেন, এই রক্ত বহনকারীরা কিছু বিশেষ প্রোটিনকে সহজে শনাক্ত করতে পারে। বিজ্ঞানীদের ধারণা করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে একই ধরনের কিছু প্রোটিন তারা চিহ্নিত করতে পারে। যে কারণে ঝুঁকি কম থাকে। বি এবং এবি রক্ত বহনকারীদের করোনা সংক্রমণে ঝুঁকির মাত্রা অন্য দুটির মাঝামাঝি।
গবেষকদের একজন নরওয়ের ওসলো বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ড. টম কার্লসেন। তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘কোভিড ১৯ এ মারাত্মকভাবে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে রোগটি কী ধরনের আচরণ করে এই গবেষণার ফলাফল তার কিছু নির্দিষ্ট ধারণা দিচ্ছে।’ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’র পরিচালক ও জীন বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সিস কলিনস তার এক ব্লগে লিখেছেন, কিছু জীনগত পরীক্ষা এবং ব্যক্তির রক্তের ধরনের উপর নির্ভর করে কারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন তা বের করতে গবেষণার এই তথ্যগুলো সহায়তা করবে।
এমএস/এসি