ওয়ারীতে পরীক্ষামূলক লকডাউন বাস্তবায়নে চিঠি
প্রকাশিত : ১৬:৩৮, ২৭ জুন ২০২০
রাজধানী পুরান ঢাকার ওয়ারী এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, পূর্ব রাজাবাজারের মতো ঢাকা মহানগরীর ওয়ারীর নির্ধারিত এলাকা চিহ্নিত করে, সেখানে পরীক্ষামূলক রেড জোন বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
''পূর্ব রাজাবাজারের রেড জোন চলমান আছে। পরামর্শ কমিটির গাইডলাইন অনুসারে এবং স্থানীয় পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে যেখানে যেমন, তেমন ভাবেই রেড জোন বাস্তবায়নের কাজ চলমান আছে।''
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি লকডাউনের সুপারিশ করার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়ে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হয়। সেই সময় ওই এলাকায় সাধারণ ছুটি বহাল থাকে। লকডাউন এলাকা থেকে কেউ বাইরে বের হতে পারেন না, কাউকে প্রবেশ করতেও দেয়া হয় না। অফিস দোকানপাট বন্ধ থাকে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ২৬ শে জুন পর্যন্ত ওয়ারীকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫৮ জন।
এর আগে গত নয়ই জুন থেকে ঢাকার পূর্ব রাজাবাজার এলাকা রেড জোন ঘোষণা করে পরীক্ষামূলক লকডাউন শুরু করা হয়। পরবর্তীতে সেটির মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়ানো হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট এলাকা রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়ে লকডাউন করবে এবং সেই এলাকায় তিন থেকে পাঁচদিন আগে তা ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন বা লাল, হলুদ ও সবুজ - এই তিন ভাগে ভাগ করে জোন ভিত্তিক লকডাউন করার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
কোনও একটি এলাকার করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা ও সেসব এলাকায় সংক্রমণের ধরণ বিবেচনা করে এই জোন ভাগ করার চিন্তা ভাবনা চলছে বলে জানান আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন।
এসি