ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাইরে গেলে যেসব ভুল করোনার ঝুঁকি বাড়াতে পারে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৬, ২৮ জুন ২০২০

জনসমাগম এড়িয়ে না চললে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়- সংগৃহীত

জনসমাগম এড়িয়ে না চললে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়- সংগৃহীত

মহমারী করোনার সংক্রমণ আমাদের দেশে তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলছে। এর মধ্যে দেশের অনেক জায়গায় লকডাউন বা অবরুদ্ধ অবস্থা তুলে দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় এখনও আছে। তবে জীবনযাপনের ধারা তো আর থেমে থাকবে না। তাই অনেকেই প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব জরুরি না হলে এই সময় বাইরে বের হওয়া মোটেও ঠিক নয়। তাতে বিপদ বাড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাইরে গেলে কিছু না কিছু ভুল হয়েই থাকে। সে ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের বিপদ বাড়াতে পারে। কী রকম সে ভুল, এবার তা জেনে নিন... 

মাস্ক, স্যানিটাইজার ও টিস্যু না নেয়া:
লকডাউন শিথিল হয়েছে তাই মাস্ক বা স্যানিটাইজার ব্যবহারে অনেকের মধ্যে কিছুটা গাছাড়া ভাব দেখা দিয়েছে। কিন্তু অফিসে বা কাজে যাবার সময় নয়, ঘরের বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার জীবাণু বাতাসে ভেসে বেড়ায় এটা কমবেশি সবারই জানা। আপনার দরজার বাইরে দিয়ে করোনা আক্রান্ত কেউ গেছেন কিনা এটা আপনার জানা নাও থাকতে পারে। তাই বের হওয়ার আগে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এছাড়া স্যানিটাইজার ও টিস্যুও সঙ্গে রাখুন। প্রয়োজনে এগুলো কাজে লাগান।

ভুল ভাবনা:
লকডাউন উঠে যাওয়া মানেই ফ্রি স্টাইলে চলাফেরা নয়। যে ভুলটি অনেকেই করছেন। কারণে-অকারণে বার বার বাহিরে যাচ্ছেন। কিন্তু করোনার ভয় নেই, এটা ভাবা একদমই ঠিক নয়। আগের মতোই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন। বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের সতর্কতামুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

দোকানে কেনাকাটা করতে যাওয়া:
দোকানপাট খোলার সঙ্গে সঙ্গে কেনাকাটার জন্য তাড়াহুড়া করবেন না। মহামারিকালে প্রথমেই আপনার অর্থনৈতিক সুরক্ষা প্রয়োজন, যাতে অসুস্থ হতে চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারেন। এজন্য শপিং মলে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় কিছু কেনা বা অহেতুক খরচ করা থেকে বিরত থাকুন।

বাইরের জিনিসপত্র স্পর্শ করা:
লকডাউন উঠার পর অনেকেই ভাবছেন সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কিন্তু এই সময় বাইরের কোন কিছু স্পর্শ করা এবং কারো সংস্পর্শে আসার ব্যাপারে অনেকে সচেতন থাকেন না। যত বেশি মানুষ অফিস করতে শুরু করবে, তত বেশি নিজেকে বাঁচিয়ে চলতে হবে। সেক্ষেত্রে দুরত্ব বজায় রেখে কথা বলা, করমর্দন করা থেকে বিরত থাকা- এসব ব্যাপারে আরও সতর্ক হোন।

করোনা সংক্রান্ত আলাপ থেকে দূরে থাকা:
প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিয়ে একে অপরের সঙ্গে আলোচনায় অনেকটা সময় কাটান। এগুলো মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে একদম না জানাটাও ঠিক নয়। করোনা মোকাবেলায় এলাকায় ভিত্তিক কী ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে, সেগুলো জানা দরকার। সারাক্ষণ করোনার খবর না জেনে দিনের একটা সময় সর্বশেষ পরিস্থিতির খবর রাখুন। (টাইমস অব ইন্ডিয়া)

এএইচ/এমএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি