ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আর বিনামূল্যে হবে না করোনা পরীক্ষা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫২, ২৯ জুন ২০২০

কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য এক বৃদ্ধার শারীরিক নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে- সংগৃহীত

কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য এক বৃদ্ধার শারীরিক নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে- সংগৃহীত

Ekushey Television Ltd.

করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ পরীক্ষা এতদিন সরকারীভাবে বিনামূল্যে হলেও তা আর থাকছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নমুনা পরীক্ষায় ফি আরোপের যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য সরকারিভাবে ফি নির্ধারিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান।

এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে হাসপাতালের বুথে এসে পরীক্ষা করতে ২০০ টাকা খরচ করতে হবে। আর বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করার জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘মন্ত্রণালয় এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন করে দিয়েছে। কাল (আজ) হয়ত প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এটা মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আছে। এখন বিস্তারিত বলা যাবে না। কালকে আপনারা পেয়ে যাবেন।’

বাংলাদেশে শুরু থেকেই নতুন করোনাভাইরাস শনাক্তে নিউক্লিক এসিড নির্ভর টেস্ট (আরটিপিসিআর) পরীক্ষা করা হয়। গত মার্চে প্রাদুর্ভাবের শুরুতে শুধু রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট’এ (আইইডিসিআর) নমুনা পরীক্ষা হলেও পরে তা বিস্তৃত হয়ে ৬০টির বেশি গবেষণাগারে এই পরীক্ষা হচ্ছে এখন।

রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ এপ্রিল চারটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার সুযোগ দেয় সরকার। পরে আরও কয়েকটি হাসপাতালে এই সুবিধা দেওয়া হয়। এসব হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য সাড়ে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।

বর্তমানে দেশের ৬৮টি গবেষণাগারে কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। এসব নমুনা পরীক্ষার কিট সরবরাহ করছে সরকার। এখন দৈনিক নমুনা পরীক্ষা ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। ২৮ জুন সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে মোট ৭ লাখ ৩০ হাজার ১৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নমুনা পরীক্ষার জন্য ফি নির্ধারণ করতে সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রস্তাব যায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে। মন্ত্রণালয় তা যাচাই করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর এখন প্রজ্ঞাপন জারির অপেক্ষা।

এমএস/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি