করোনাকালে নিজেকে ফিট রাখতে করণীয়
প্রকাশিত : ১১:২১, ১ জুলাই ২০২০
মহামারী করোনায় বেশি ভাগ সময় ধরেই ঘরে থাকা হচ্ছে। এর ফলে আলস্য যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে খাওয়াদাওয়া। যার কারণে শরীরে জমছে বাড়তি মেদ। কিন্তু এই সময়ে দরকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা। ঘটছে এর উল্টোটা। যেখানে করোনা প্রতিরোধে ইউমিনিটি বাড়ানোর কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেখানে শরীরে মেদ জমিয়ে আরও রোগ ডেকে আনা হচ্ছে।
স্থূলতার ফলে ডায়াবেটিস, হাইব্লাডপ্রেসার বা উচ্চরক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার মতো নানা রোগ দেখা দিতে পারে। এই জাতীয় অসুখ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই শুয়ে-বসে না থেকে শরীর সচল রাখতে হবে। বাড়াতে হবে ব্যায়ামের পরিমাণও। এর জন্য বাইরে যাওয়ার দরকার নেই ঘরে বসেই করতে পারেন এমন ব্যায়ামও রয়েছে। যা আপনাকে ফিট থাকতে সাহায্য করবে।
এই সময়ে কী ধরনের ব্যায়াম করবেন?
* বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমেরিকান কলেজ অব স্পোর্টস মেডিসিন থেকে জানানো হয়েছে, ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়স্ক সুস্থ ও শারীরিকভাবে ফিট মানুষের সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি গতিতে বা ৭৫ মিনিট জোর গতিতে অ্যারোবিক ব্যায়াম করা দরকার। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করতে হবে পেশিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম।
* করোনাকালীন এই সময়ে বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। তাই ছাদে হাঁটুন, স্পট জগিং করুন, স্পট স্কিপিং করুন, দৌড়াতে পারেন বা স্ট্যাটিক সাইকেল চালান। তবে হাঁটা বা জগিংয়ের আগে হাঁটার জুতো পরে নেবেন। না হলে পায়ে ব্যথা হবে।
* টানা ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটুন। টানা না পারলে সকালে ২০ মিনিট এবং বিকালে ২০ মিনিট হাঁটবেন। এমন গতিতে যাতে হাঁফিয়ে উঠলে দু-চারটে কথা বলা যায়।
সাধ্যমতো জোরে হাঁটলে হার্ট ও ফুসফুসের বেশি উপকার হয়। যেটা এই সময়ে খুবই দরকার।
* শরীরের প্রতিটি পেশিসন্ধিকে সচল রাখার জন্য স্ট্রেচিং ব্যায়াম খুবই উপকারী। পা, কোমর, শিরদাঁড়ার স্ট্রেচিং এই সময় খুব কাজে আসবে। কোনো ব্যথা-বেদনা বা
অস্থিসন্ধি ও পেশির বড় কোনো সমস্যা না থাকলে করতে পারেন এই ব্যায়াম।
* পেশি জোরদার বা মাসল স্ট্রেনদেনিং করার ব্যায়াম দুভাবে করা যায়। ওজন নিয়ে ও শরীরের ওজনকে ব্যবহার করে। যাকে বডি ওয়েট ট্রেনিংও বলা হয়ে থাকে। যা আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন।
* জুম্বা করতে পারেন। নাচের তালে তালে এই ব্যায়াম করা হয়। জুম্বাতে আপনার শরীর যেমন ভাল থাকবে, মনও হালকা হবে।
* এর পাশাপাশি সচল থাকার চেষ্টা করুন। এক জায়গায় টানা বসে না থেকে মাঝে মাঝে উঠে পাঁয়চারি করুন, বাসার কাজকর্মে হাত লাগাতে পারেন। দীর্ঘসময় বসে থাকার অভ্যাস হলে ব্যায়ামের ফল সেভাবে পাবেন না।
উপরোক্ত ব্যায়ামগুলো করলে কী উপকার পাবেন
* শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরে যাবে, হার্ট ও ফুসফুসকে তাজা থাকবে। করোনা ভাইরাসের জটিলতা ঠেকাতে যার বড় ভূমিকা রয়েছে।
* সেই সঙ্গে সুগার-প্রেশার-কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে প্রথম দুটির সঙ্গে যে কোভিডের সম্পর্ক আছে, তা এখন সবাই জানেন।
* হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। হাড় নরম হয়ে ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা কমে।
* ফিটনেস ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। করোনা ভাইরাস ঠেকাতে হলে এর কোন জুড়ি নেই।
এএইচ/এসএ