ভারতে পাঁচ দিনেই লক্ষাধিক আক্রান্ত
প্রকাশিত : ১৩:৫২, ২ জুলাই ২০২০
ভারতে ছয় লাখ ছাড়িয়ে গেল সংক্রমণ। এর মধ্যে এক থেকে দুই লাখ ১৫ দিন। দুই থেকে তিন ১০ দিন। তিন থেকে চার ৮ দিন। চার থেকে পাঁচ লাখে ৬ দিন। আর পাঁচ থেকে ছয় লাখে পৌঁছতে লাগল মাত্র ৫ দিন। শুধু জুনেই আক্রান্ত ৪ লাখ। আর প্রাণহানি এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ছুঁই ছুঁই।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ১৪৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)।
একইসময়ে প্রাণহানি ঘটেছে ৪৩৪ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮৩৪ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯০ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এর মধ্যে শুধু জুনেই করোনার শিকার ৪ লাখ ও প্রাণহানি ঘটেছে ১২ হাজার মানুষের। যা মোট সংক্রমণ ও প্রাণহানির প্রায় ৭০ শতাংশ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের গড় করোনা পজিটিভের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশে, গত চার দিন আগেও যা ছিল ৬ শতাংশে। আর সুস্থতার হার ৫৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। দেশজুড়ে করোনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৯০ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ প্রায় ২৯ হাজার।
দেশটিতে প্রাণহানির শীর্ষে বরাবরই মহারাষ্ট্র। দিল্লিতেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে করোনা ছড়িয়ে পড়া ৯টি প্রদেশে। এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা গুজরাট, বিহার, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্নাটক, কেরালা ও হরিয়ানায়।
সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
তবে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়লেও, হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও স্বস্তি দিচ্ছে ভারতবাসীকে। এমনিতেই করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা এক লাখেরও বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৮৮১ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬০ জন ভুক্তভোগী।
এআই/এসএ/