ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

করোনাকালে বেড়েছে বাল্যবিবাহ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৭, ১৫ জুলাই ২০২০

নানা সূচকে বিশ্বের রোল মডেল বাংলাদেশ। মাতৃমৃত্যুর হার কমে আসাও এই অর্জনের অন্যতম। দিনে দিনে বাল্যবিবাহ কমে আসায় কমছিলো মাতৃমৃত্যুর হার। কিন্তু করোনা মহামারির মধ্যে বেড়েছে বাল্য বিবাহ। দেশে আগের তুলনায় এই সময়ে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ শতাংশ।

করোনাকালে অভিভাবকের কাজ না থাকা, সন্তানের স্কুল খোলার নিশ্চয়তা না থাকা এবং অনিরাপত্তা বোধ থেকে দেশে বেড়ে গেছে বাল্যবিবাহ। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হিসাব মতে, মে ও জুন মাসে আশঙ্কাজনক হারে বাল্যবিবাহ বেড়ে গেছে।

একটি সংস্থার হিসাব শুধু জুনেই ৪৬২ জন কন্যাশিশু বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। তবে প্রশাসনের সহায়তায় এ মাসে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা গেছে ২০৭টি। তাদের হিসাবে গত মে মাসে বাল্যবিয়ের সংখ্যা ছিল ১৭০টি এবং বন্ধ করা হয়েছিল ২৩৩টি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তার অভাবসহ নানা কারণে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যাচ্ছে না। এতে মাতৃমৃত্যুর হার বৃদ্ধিরও আশঙ্কা করছেন তারা।

সচেতনতা ও আইন দিয়েই মূলত বাল্যবিবাহ রোধ করার প্রচেষ্টা চলছিল। কিন্তু করোনাকালে বেড়ে গেছে বাল্য বিবাহ। মূলত: গ্রামাঞ্চলে চুপিসারে দেওয়া হচ্ছে এসব বিবাহ। ফলে বাল্যবিবাহের হার বেড়ে যাচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তার অভাব ও দারিদ্রই এ সময়টিতে বাল্যবিবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশনস সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, বাল্য বিবাহ বাড়লে মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর যে সাফল্য তা থেকে ছিটকে পড়াবে দেশ।  

করোনা বিষয়ক পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সালের মতে, বাল্যবিবাহ বাড়লে নারী শিক্ষাসূচকেও অবনতি ঘটবে। তাই সচেতনতা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগে বাল্যবিবাহ বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ‘বাল্যবিয়ে’ এবং ‘জোর করে বিয়ে’ বন্ধ করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি