ধূমপায়ী তরুণরা করোনার গুরুতর ঝুঁকিতে!
প্রকাশিত : ১১:৪২, ১৬ জুলাই ২০২০
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা আগেই বলেছে যারা ধূমপান করেন তাদের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি হবার সম্ভাবনা আছে। সেই আশঙ্কাই বাস্তবে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। সেখানে দেখা যায়, তিনজনের মধ্যে একজন তরুণ করোনাভাইরাসে গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকিতে রয়েছেন এবং ধূমপান সেই ঝুঁকিতে বড় ভূমিকা পালন করছে।
গত সোমবার (১৪ জুলাই) জার্নাল অব অ্যাডলসেন্ট হেলথে প্রকাশিত নতুন একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জাতীয় স্বাস্থ্য সাক্ষাত্কার সমীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী আট হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। তাতে গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, অধ্যয়নের মোট জনসংখ্যা ৩২ শতাংশ তরুণ কোভিড-১৯তে গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকিতে ছিল। এর মধ্যে সিগারেট বা ই-সিগারেট ধূমপান করাদের আলাদা করলে তাদের হারটি অর্ধেক অর্থাৎ ১৬ শতাংশ।
গবেষণায় দেখা গেছে, সমীক্ষার পুরো জনসংখ্যার মধ্যে তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষরা কোভিড-১৯র গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকিতে ছিলেন।
গবেষণাটির নেতৃত্ব দেয়া ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ স্যালি অ্যাডামস বলেছেন, সাম্প্রতিক প্রমাণগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ধূমপান কোভিড-১৯র গুরুতর পরিস্থিতির সঙ্গে জড়িত, যার মধ্যে রয়েছে অসুস্থতার তীব্রতা, আইসিইউতে ভর্তি বা মৃত্যু। ধূমপানের ফলে অল্প বয়স্কদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব থাকতে পারে, যাদের বেশির ভাগের মধ্যেই দুরারোগ্য রোগের হার কম থাকে।
ধূমপায়ীদের করোনার ঝুঁকি বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, স্পোকিংয়ের সময় হাতের আঙুলগুলো ঠোঁটের সংস্পর্শে আসে এবং এর ফলে হাতে (বা সিগারেটের গায়ে) লেগে থাকা ভাইরাস মুখে চলে যাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়া ধূমপায়ীদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার আগে থেকেই ফুসফুসের রোগ থাকতে পারে, অথবা ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে যা তার গুরুতর অসুস্থ হবার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। সূত্র: সিএনএন
এএইচ/এমবি