করোনার আরটি-পিসিআর টেস্টে ৪০ শতাংশ ভুলের আশঙ্কা! (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:০৭, ১৯ জুলাই ২০২০
আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষায় ফলাফল ১০ থেকে ৪০ শতাংশই ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যে কারণে অনেকেই উপসর্গ থাকার পরও নেগেটিভ ফলাফল পান। এতে যেমন রোগীর ঝুঁকি এবং তেমনি সংক্রমণ বাড়ারও আশঙ্কা থাকে। এ অবস্থায় উপসর্গ থাকার পরও পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসলেও সিটি স্ক্যান করে নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও কোভিড পরীক্ষায় আরটি-পিসিআর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
নমুনা পরীক্ষার ফলাফল কতটা নির্ভুল হবে তা নির্ভর করে নমুনা সংগ্রহ, পরিবহন ও সংরক্ষণ এবং কোন ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে তার ওপর।
কোভিড-১৯ চিকিৎসকরা বলছেন, আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে কখনও শতভাগ সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না। ৪০ শতাংশ ফলাফল ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যে কারণে করোনা পজিটিভ হওয়া সত্বেও অনেকে নেগেটিভ রেজাল্ট পান। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থা জটিল হতে পারে। আবার না জেনেই অন্যদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে দেন।
কোভিড-১৯ চিকিৎসক মোহাম্মদ সায়েম জানায়, নাকের ভিতর থেকে রস নিচ্ছে, মুখের ভিতরের পিছন দিকে থেকে লালা নিচ্ছে, কিন্তু এইসব জায়গায় যদি ভাইরাসের উপস্থিতি কম থাকে তাহলে পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসবে, সবচেয়ে বড় কথা হলো আরটি-পিসিআর পরীক্ষাটিই হচ্ছে একশত জন আক্রান্তের পরীক্ষা করলে ৬০ জন সনাক্ত হবে।
আইইডিসিআর এর সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোস্তাক হোসেন জানান, আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ফলাফলের একটা অংশ ভুল হতে পারে। সেক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফলের সাথে রোগের লক্ষণ মিলিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে সিটি স্ক্যান করে ফলাফলের সত্যতা নিশ্চিত করার পরামর্শ তার।
ড. মোস্তাক হোসেন বলেন, জ্বর কাশি বা নিউমোনিয়া থাকলে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসলেও তাকে পজেটিভ বলেই গণ্য করতে হবে।
এমবি//