ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১২, ২০ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১২:২৪, ২০ জুলাই ২০২০

মুম্বাইয়ে এশিয়ার বৃহৎ বস্তি দারাবিতে এক পুলিশ সদস্যের শারীরিক নমুন সংগ্রহ করছেন স্বাস্থ্যকর্মী- এপি

মুম্বাইয়ে এশিয়ার বৃহৎ বস্তি দারাবিতে এক পুলিশ সদস্যের শারীরিক নমুন সংগ্রহ করছেন স্বাস্থ্যকর্মী- এপি

ভারতে বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। আক্রান্তের দিকে দিয়ে এ দেশটি ইতোমধ্যে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থান দখল করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে রেকর্ড ৪১ হাজার ১০৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন যা আগের দিন ছিল ৩৭ হাজার ৪০৭ জন। মারা গেছেন ৬৭৫ জন। যা আগের দিন ছিল ৫৪৩ জনে। 

আক্রান্তের নিরিখে এটিই ভারতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক। এ নিয়ে দেশটিতে শনাক্তের সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ জন। একদিনে আরও ৬৭৫ জনসহ মোট মৃত্যু ২৭ হাজার ৫০৩ ছাড়িয়েছে। এর আগে শুক্রবার পর্যন্ত গত ৩ দিনে ভারতে ১ লাখ নাগরিক কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। 

করোনা এখন গোষ্ঠীগত সংক্রামণের (কমিউনিটি ট্রান্সমিশন) দিকে ধাবিত হয়েছে বলে গতকাল দাবি করছে দেশটির চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনও (আইএমএ)। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে এখন দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৩.৪৯ শতাংশ। এপ্রিলের শুরুতে যা ছিল ৩১.২৮ শতাংশ। মন্ত্রণালয়ের দাবি, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুস্থতার হারও। জুনের মাঝামাঝি ছিল ৫২ শতাংশ, এখন প্রায় ৬৩। বড় রাজ্যগুলির মধ্যে তামিলনাড়ু বাদে অন্য সবগুলোতে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। এরই মধ্যে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, রাজ্যের পুনথুরা, পুল্লুভিলা, তিরুঅনন্তপুরম এলাকায় গোষ্ঠী-সংক্রমণের (কমিউনিটি ট্রান্সপারেন্ট) খবর পাওয়া গিয়েছে। এখন সংক্রমণ বাড়ছে গ্রামাঞ্চলে, যেখানে স্বাস্থ্য অবকাঠামো দুর্বল। তবে যে সংক্রমণের চিত্র সরকারি হিসাবে উঠে আসছে, তা সঠিক কি না এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। দেশটিতে করোনা পরীক্ষার হার জনসংখ্যার তুলনায় বেশ কম। এই পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যন্ত এলাকায় লকডাউনের কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার।

পরিসংখ্যা সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের রেখা চিত্র লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে, এপ্রিলের ১৮ তারিখ দেশটিতে শনাক্ত রোগী ছিল ১৬ হাজার ৩৬৫ জন সেখানে তিন মাসের ব্যবধানে ২০ জুলাইয়ে করোনা রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ জনে। দেশটিতে চিকিৎসাধীন রোগী রয়েছে ৩ লাখ  ৯০ হাজার ২০৫ জন এবং যার মধ্যে আশঙ্কাজনক সাড়ে ৮ হাজার ৯৪৪ জন। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ লাখ ৩৯৯ জন।

উল্লেখ্য, একদিনে বিশ্বেও করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৯ হাজারের বেশি। এ নিয়ে বিশ্বে মোট শনাক্ত ১ কোটি ৪৬ লাখের বেশি। করোনা মহামারিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ৬ লাখ ৯ হাজার মানুষ। আর সুস্থ হয়েছেন ৮৮ লাখের বেশি মানুষ। গত ১১ মার্চ করোনা ভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে মানবদেহে প্রথম এ ভাইরাসটি ধরা পড়ে। 

এমএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি