প্রস্তুত রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন
প্রকাশিত : ২৩:৪৮, ২২ জুলাই ২০২০
করোনার গ্রাসে গোটা বিশ্ব। ভ্যাকসিনের দিকে তাকিয়ে মানুষ। এই অবস্থায় আসা জাগাচ্ছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। প্রথম পর্যায়ে এই ভ্যাকসিন সুরক্ষিত বলে ইতোমধ্যে দাবি করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই এই ভ্যাকসিন চলে আসবে।
অন্যদিকে রাশিয়াও তাঁদের ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্যে তৈরি বলে দাবি করেছেন। রাশিয়ার গামালেয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির সামরিক বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা মিলে দীর্ঘদিন ধরে করোনার এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চালাচ্ছিলেন। সম্প্রতি রুশ ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুসলান সালিকভ জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্যে তৈরি। ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনটি দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল সম্পূর্ণ করেছে।
যাদের ওপর তার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে, তাদের প্রত্যেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ বোধ করছেন। প্রত্যেকের শরীরেই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়েছে বলে দাবি রুশ ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। রাশিয়ান এক সংবাদমাধ্যমকে সালিকভ জানিয়েছেন, আমাদের ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টারের বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানীদের পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলের ওপর চূড়ান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। ছেড়ে দেওয়ার সময় সব ভলান্টিয়ারের মধ্যেই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, তারা একেবারে স্বাভাবিক বলে ঐ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রথম ঘরোয়া ভ্যাকসিন রাশিয়ার হাতে চলে এসেছে বলেই জানিয়েছে সালিকভ।
তবে বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, আরও বেশ কিছু পরীক্ষা করা হবে এই ভ্যাকসিন নিয়ে। ফেজ থ্রি-তে ব্যাপক মাত্রায় ট্রায়াল হবে বলে জানানো হচ্ছে। তবে এই ট্রায়াল শুরু হবে সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এমনকি কবে থেকে এই ভ্যাকসিন প্রচুর পরিমাণে তৈরি হবে সেই বিষয়েও এখনও কিছু জানানো হয়নি।
অন্যদিকে নোভোসিবিরস্কে সরকারি ভাইরোলজি সেন্টার ভেক্টর-এর প্রাক্তন শীর্ষকর্তা সের্গেই নেতেসভ বলেছেন, তৃতীয় দফা এখনও শুরু হয়নি, তার ঘোষণাও হয়নি। কেন ওদের এত তাড়াহুড়ো, মোটেই তা বোধগম্য নয়। ভেক্টরও একটি ভ্যাকসিনের ওপর কাজ করছে। নেতেসভ বলেছেন, ওরা সকলে সবার আগে থাকতে চাইছে।
অন্যদিকে অক্সফোর্ড থেকে সুখবর এসেছে কয়েকদিন আগেই। তারপরই মুখ খুলেছেন অক্সফোর্ডের প্রধান গবেষক অ্যান্ড্রু পোলার্ড। তিনি জানিয়েছে অক্সফোর্ডের গবেষকরা প্রথম মাইলস্টোন পার করে ফেলেছেন। এবার প্রোডাকশনের দিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম বড় মাইলস্টোনে পৌঁছে গিয়েছি। যাতে দেখা যাচ্ছে যে ভ্যাক্সিনটি অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। তবে এখনও আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে এই ভ্যাক্সিন মানুষকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। এই ভ্যাক্সিন কেমন সাড়া দিচ্ছে, তা জানতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। বিশেষত বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে তা জানাটা জরুরি।’ তবে গবেষকদের সামনে এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল প্রোডাকশন। এত বেশি মাত্রা ভ্যাক্সিন উৎপাদন করতে হবে যাতে গোটা পৃথিবীর কাছে তা পৌঁছে যেতে পারে।
এমএস/এসি