২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩০, শনাক্ত ১৩৫৬
প্রকাশিত : ১৪:৪০, ৩ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৫:০৩, ৩ আগস্ট ২০২০
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটির সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ১৮৪ জনে।
এছাড়া একই সময়ে নতুন করে ১ হাজার ৩৫৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সর্বমোট ২ লাখ ৪২ হাজার ১০২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হল।
আজ সোমবার (৩ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৪ হাজার ২৪৯টি নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এসব পরীক্ষায় নতুন করে ১ হাজার ৩৫৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হলো ২ লাখ ৪২ হাজার ১০২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১.৯১ শতাংশ।
ডা. নাসিমা জানান, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩০ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১৮৪ জনের মৃত্যু হলো। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ। সর্বশেষ মারা যাওয়া ৩০ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী।
এদিকে আগে থেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকা আরও ১ হাজার ৬৬ জন সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন জানিয়ে ডা. নাসিমা বলেন, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়া ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯০৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬.৯৬ শতাংশ।
এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৮ হাজার।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৬ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫১ জনের। আর এ পর্যন্ত সেড়ে উঠেছে ১ কোটি ৬ লাখ ৪৯ হাজার ১০৮ জন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এমবি//