ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

কোভিড বর্জ্য থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৩৪, ২৪ আগস্ট ২০২০

করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসক ও নার্সসহ হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সবাই ব্যবহার করছে নানা স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী। এগুলোর বেশিরভাগই একবার ব্যবহার উপযোগী। বাকিগুলো একটা সময়ের পর পরিত্যাজ্য। এ কারণে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে শত শত কেজি কোভিড বর্জ্য।

এসব বর্জ্য নিষ্ক্রিয় করতে মনিটরিং বাড়িয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। হাসপাতাল বর্জ্য সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন বলছে, প্রচলিত ইনসিনেটর করোনার বর্জ্য ধ্বংস করার জন্যে যথাযথ নয়। 

এদিকে, হাসপাতালের বাইরেও তৈরি হচ্ছে কোভিড বর্জ্য। মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভসসহ বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহার করছে মানুষ। পরে ফেলে দিচ্ছে সড়কের পাশে বা অন্য কোন খোলা যায়গায়। এতে বাড়ছে সংক্রমণ ঝুঁকি। 

মেডিকেল বর্জ্য সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। 

এ ব্যাপারে প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আনিসুর রহমান বলেন, ‘ব্যবহৃত এসব বর্জ্যে আয়রনসহ বেশ কিছু উপাদান রয়েছে। এর সমস্যা হচ্ছে অন্যান্য সময় এগুলো দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা গেলেও করোনার সময়ে উপযুক্ত নয়।’

আর সিটি কর্পোরেশন বলছে, বাসা কিংবা প্রতিষ্ঠান থেকে কোভিড বর্জ্য সংগ্রহের পর তা পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা এস এম শফিকুর রহমান বলেন, ‘দুই সিটির সমন্বয়ে মেডিকেল ব্যবহৃত বর্জ্য বাহিরে পড়ে না থাকে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

অন্যদিকে কোভিড বর্জ্য ধ্বংসের মানসম্পন্ন প্লান্ট দেশে নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জেনারেল ডা. এ কে এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বর্জ্যগুলো ধ্বংস করার জন্য যে উন্নত পদ্ধতি দরকার তা দুই সিটিতে নেই। ফলে, যেভাবে তারা এগুলো অপসারণ করছে, সেটা ততটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়।’

এমতাবস্থায় কোভিড বর্জ্য ববস্থাপনায় যথাযথ কারিগরি উদ্যোগ না নিলে সংক্রমণ ঝুঁকি থেকে বের হওয়া কঠিন হবে বলে মনে করছেন বর্জ্য ব্যবস্থাপকরা।   

এআই//এমবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি