ব্রাজিলে কমেছে করোনায় মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা
প্রকাশিত : ১০:০৬, ৩১ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১০:০৭, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাও পাওলোর সাও লুইজ সমাধিস্থলে ৪৮ বয়সী জোস সোরেস’র সৎকার করছেন সমাধীস্থলের কর্মীরা- ফ্রান্স ২৪
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও গত দিনগুলোর চেয়ে তা কমেছে। ইতোমধ্যে সেখানে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত এক দিনে মারা গেছেন ৩৯৪ জন এবং এর আগের দিন মারা গেছেন প্রায় হাজার ভুক্তভোগী। আগের দিনের চেয়ে গত এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সুস্থতার সংখ্যা।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার সকালে বলা হয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৩৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন যা আগের দিনের চেয়ে অর্ধেকেরও কম। সংখ্যাটি ছিল ৩৪ হাজার ৩৬০। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৮ লাখ ৬২ হাজার ৩১১ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯৪ জন। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৯৬ জনে ঠেকেছে।
অপরদিকে সুস্থতা লাভ করেছেন আরও ২৫ হাজার ৫৫৯ জন। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ২৭ লাখ ৭২ হাজার ৯২৮ জন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশটির সাও পাওলো শহরে ৬১ বছর বয়সী ইতালি ফেরত এক জনের শরীরে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই অবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হতে থাকে। যেখানে আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
তবে শুধু ব্রাজিলই নয়, করোনার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও। যেখানে পূর্বের তুলনায় ভাইরাসটির দাপট অনেকটা বেড়েছে। এমন অবস্থায় করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে সংকটাবস্থার মধ্য দিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের দেশগুলোতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ব্রাজিলেএখন ভাইরাসটির এখন প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোতে দ্রুত বিস্তার লাভ করায় পেরু ও কলম্বিয়ার মতো দেশগুলোর প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত ৬ লাখ ছাড়িয়েছে। পেরুতে আক্রান্ত ৬ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি। যেখানে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ৭৮৮ জনে ঠেকেছে। কলম্বিয়ায় শনাক্ত হয়েছে ৬ লাখ ৭ হাজার ৯৩৮ জনের শরীরে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৩৬৪ জনের।
চিলিতে সংক্রমিত ৪ লাখ ৯ হাজার ৯৭৪ অধিক। এর মধ্যে ১১ হাজার ২৪৪ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। আর্জেন্টিনায় সংক্রমিতের সংখ্যা সাড়ে ৪ লাখ ৮ হাজার ৪২৬ দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৪৫৭ জনের।
এমএস/