ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত সাড়ে ৯০ হাজার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫২, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১২:৫৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

নয়া দিল্লির আদাস নগর ও জাহাঙ্গিরপুরী এলকায় কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমানরা- দ্যা হিন্দু

নয়া দিল্লির আদাস নগর ও জাহাঙ্গিরপুরী এলকায় কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমানরা- দ্যা হিন্দু

ব্রাজিলকে পেরিয়ে করোনা সংক্রমণের বিশ্ব-তালিকার দুই নম্বরে উঠে এসেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। আজ সোমবার সকালে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৯০ হাজার পেরিয়েছে। বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতাল জানায়, সুস্থ হওয়ার পরেও ফের করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে এক নারীর শরীরে। অর্থাৎ একই রোগীর দ্বিতীয় বার সংক্রমিত হওয়ার বিক্ষিপ্ত ঘটনাও সামনে আসতে শুরু করেছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র।  

ভারতে দৈনিক ১ লক্ষ সংক্রমণ হতে পারে এমন আশঙ্কার কথা শুরুতেই জানিয়েছিলেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের কথা অবশেষে সত্যি হতে চলেছে বলে উল্লেখ করেছে দেশটির গণমাধ্যম। একই সঙ্গে দেশটিতে প্রতিদিন মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে। 

পরিসংখ্যান সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে কোভিডে মোট মৃত্যু ৭১ হাজার পেরিয়ে গেছে। সংক্রমিতের সংখ্যা  ছাড়িয়েছে ৪২ লাখ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরপর দুই পুরো দেশে ৭০ হাজারের বেশি কোভিড রোগী সেরে উঠেছেন। সুস্থতার হার পৌঁছেছে ৭৭.৩২ শতাংশে। অ্যাক্টিভ রোগী যেখানে ৮.৬২ লাখ, সেখানে সুস্থের সংখ্যা ৩২ লাখের কাছাকাছি। মৃত্যুহার ১.৭২ শতাংশে নেমেছে। মোট সংক্রমিতের মাত্র ২০.৯৬ শতাংশ এখন অ্যাক্টিভ রোগী। 

গতকাল রোববার দেশটিতে ১০.৯২ লাখ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। মোট পরীক্ষার সংখ্যা ৪.৮৮ কোটি। সংক্রমণের লাফিয়ে বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কথাই জানাচ্ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। 

গতকালই ভিডিও কনফারেন্সে পশ্চিমবঙ্গসহ পাঁচটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, ঝাড়খণ্ড ও পুদুচেরির মোট ৩৫টি জেলা থেকে বেশি সংখ্যায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর খবর আসছে। তাই ক্যান্টেনমেন্ট ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি পরীক্ষা বাড়াতেও বলা হয়েছে যাতে ঐ রাজ্যগুলিতে সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের নীচে নেমে আসে। ঐ ৩৫টি জেলার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। 

এমএস/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি