ভারতে আরও ১১শ’ মৃত্যু, শনাক্ত ৭৫ হাজার
প্রকাশিত : ১২:২৩, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে গত একদিনে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও বেড়েছে প্রাণহানি। যেখানে নতুন করে ১১শ’ মানুষের প্রাণ কেড়েছে ভাইরাসটি। এতে করে মৃতের সংখ্যা ৭৩ হাজার ছুঁতে চলেছে। অপরদিকে, আরও ৭৫ হাজারের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার অধিকাংশই মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। তবে, আক্রান্তদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ রোগীই সুস্থতা লাভ করেছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ হাজার ৮০৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ লাখ ৮০ হাজার ৪২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ১৩৩ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৭২ হাজার ৭৭৫ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ কোটি সাড়ে ৬ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১১ লাখ।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত ও প্রাণহানির দেশ হলো ভারত।
এদিকে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার মানুষের।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে করোনার শিকার ৫ লাখের বেশি মানুষ। তবে, প্রাণহানি কিছুটা কম এখানে। যার সংখ্যা ৪ হাজার ৪৮৭ জনের।
তিনে থাকা তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজারে ঠেকেছে। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি।
চারে থাকা কর্ণাটকে করোনার ভুক্তভোগী ৪ লাখের অধিক মানুষ। যেখানে প্রাণহানি সাড়ে ৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
আর রাজধানী দিল্লিতে করোনা হানা দিয়েছে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজারের বেশি মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৫৯৯ জন। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট।
সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা লাভ করেছেন ৭৩ হাজার ৫২১ জন রোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ৩৩ লাখ ২৪ হাজারের কাছাকাছি। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৬৯৭ জন।
এআই//