ঢাকা, রবিবার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতে করোনায় আরও ৮৯ হাজার আক্রান্ত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০৩, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৩:০৯, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

ভারতে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য এক নারীর শারীর থেকে নমুন সংগ্রহ করা হচ্ছে- রয়টার্স

ভারতে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য এক নারীর শারীর থেকে নমুন সংগ্রহ করা হচ্ছে- রয়টার্স

ভারতে দৈনিক করোনার সংক্রমণ ৮৫-৯০ হাজারের গণ্ডিতে ঘোরাফেরার পর ৭৫ হাজারে নেমেছিল গতকাল মঙ্গলবার। আজ বুধবার তা ফের ৮৯ হাজারে পৌঁছেছে। উদ্বেগ বাড়িয়ে নতুন মৃত্যু ফের ১১০০ ছাড়াল। সঙ্গে সংক্রমণ হারও গতকালের তুলনায় বেড়েছে। যার অধিকাংশই মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। তবে আক্রান্তদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ রোগীই সুস্থতা লাভ করেছেন। 

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুরে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ হাজার ৭০৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ১২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। 

অন্যদিকে গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ১৬৮ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৭৩ হাজার ৯২৩ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ কোটি ১৮ লাখ ২ হাজার ৬৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

মোট মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা আমেরিকা ও ব্রাজিলের তুলনায় ভারতে মোট মৃত্যু অনেক কম। পাশাপাশি ঐ দেশগুলির তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হারও অনেকটাই কম। যদিও বিগত কয়েক দিন ধরেই দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাতেও অন্যান্য দেশকে পিছনে ফেলছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ২৭ হাজার ৪০৭। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট মৃত ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটকে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার ৬৮০। দেশের রাজধানীতে সংখ্যাটা ৪ হাজার ৬১৮। অন্ধ্রপ্রদেশে (৪,৫৬০), উত্তরপ্রদেশ (৪,০৪৭), পশ্চিমবঙ্গ (৩,৬৭৭) ও গুজরাত (৩,১৩৩) মৃত্যু তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে। পঞ্জাব (১,৯৯০), মধ্যপ্রদেশ (১,৬০৯), রাজস্থানে (১,১৬৪) মোট মৃত্যু বেড়ে চলেছে। এর পর তালিকায় রয়েছে তেলঙ্গানা, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, ছত্তীসগঢ়, গোয়া-র মতো রাজ্যগুলি

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। 

আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা লাভ করেছেন ৭৪ হাজার ৮৪৪ জন রোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ৩৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪৪ জন। দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৯৭ হাজার ৩৬১ জন।

এমএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি