ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও সুস্থ
প্রকাশিত : ১২:২১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১২:২৬, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
মুম্বাইয়ে দায়িত্বরত এক পুলিশের শরীরে কীটনাশক স্প্রে করছে স্বাস্থ্যকর্মী। ছবি-ইন্ডিয়া টিভি নিউজ
বিশ্বব্যাপী জেঁকে বসা করোনার প্রাণকেন্দ্র এখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। যেখানে গত একদিনেও সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। যার অধিকাংশই মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অন্ধুপ্রদেশ ও রাজধানী দিল্লির বাসিন্দা। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন আরও সহস্রাধিক মানুষ। তবে আশার কথা হলো গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী করোনামুক্ত হয়েছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭ হাজার ৫৭০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ২০১ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৭৭ হাজার ৪৭২ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ কোটি ৫১ লাখ ৮৯ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ লাখ ৯১ হাজারের বেশি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত।
এদিকে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ১৫ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৭২৪ জন মানুষের।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে করোনার শিকার ৫ লাখ ৪৭ হাজারের অধিক মানুষ। তবে, প্রাণহানি কিছুটা কম এখানে। যার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৭৯ জনের।
তিনে থাকা তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ২৩১ জন। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৯১ হাজারের বেশি।
চারে থাকা কর্ণাটকে করোনার ভুক্তভোগী ৪ লাখ ৪০ হাজারের অধিক মানুষ। যেখানে প্রাণহানি ৭ হাজারে ঠেকেছে।
উত্তর প্রদেশে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ছুঁই ছুঁই। সেখানে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে ভুগে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ২৮২ জন।
আর রাজধানী দিল্লিতে করোনা হানা দিয়েছে এখন পর্যন্ত ২ লাখের বেশি মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৬৮৭ জন। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট।
সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা লাভ করেছেন ৮১ হাজার ৫৩৩ জন রোগী। যা একদিনে সুস্থতার নিরিখে সর্বোচ্চ। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ৩৬ লাখ ২৪ হাজারের বেশি। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩১৬ জন।
এআই//এমবি