যুক্তরাষ্ট্রে আবারও বেড়েছে সংক্রমণ, কমেছে সুস্থতা
প্রকাশিত : ০৮:৩২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রাণঘাতি করোনার তাণ্ডব আরও বেড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। গত একদিনে হাজারের নিচে প্রাণহানি ঘটলেও আক্রান্ত হয়েছেন আরও প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। যার অধিকাংশই ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির বাসিন্দা। পক্ষান্তরে কমেছে সুস্থতার হার।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৬ হাজার ২৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৭৯ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ২ লাখ ২ হাজার ২১৩ জনে ঠেকেছে।
অন্যদিকে গত একদিনে সুস্থতা লাভ করেছেন প্রায় ৩৬ হাজার রোগী। এতে করে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯ জনে পৌঁছেছে।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা ইতোমধ্যে তাদের দেশের অন্তত ২০ মিলিয়ন (দুই কোটি) মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বলছে, ‘প্রকৃত তথ্য হলো, প্রকাশিত সংখ্যার অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ করোনার ভয়াবহতার শিকার।’
এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও এ শহরে করোনার শিকার পৌনে ৮ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৮১২ জনের।
সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হার দীর্ঘ হচ্ছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ১৪ হাজারের কাছাকাছি। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ১৪ হাজার ৯৫৮ জনের।
ফ্লোরিডায় করোনার শিকার পৌনে ৭ লাখ মানুষ। ইতোমধ্যে সেখানে ১৩ হাজার ৮৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৪ লাখ ৮১ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৩৩ হাজার ১৬৩ জন ভুক্তভোগী।
জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৬ হাজার ৪৭৪ জনের।
ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ২ লাখ ৭০ হাজারের অধিক মানুষ। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৬২৪ জন।
অ্যারিজোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ছুঁই ছুঁই। যেখানে প্রাণ গেছে ৫ হাজার ৪০৯ জনের।
নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ২ লাখ ২ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ১৭৯ জনের।
এছাড়া ম্যাসাসুয়েটসস, পেনসিলভেনিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, লুসিয়ানা, টেনেসি ও অ্যালাবামার মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।
এআই/এসএ/