ঢাকা, বুধবার   ১২ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

যেখানে ডেঙ্গু সেখানে করোনা সংক্রমণ কম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৯, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

ব্রাজিলে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ এবং ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। আর তাহলো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে তা কোভিড-১৯ রোগ থেকে কিছুটা ইমিউনিটি বা সুরক্ষা দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মিগুয়েল নিকোলেলিসের নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণায় এমন ফলাফল পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়। খবর বিবিসি’র

তবে ওই গবেষণাটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়নি। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

অধ্যাপক নিকোলেলিস তার গবেষণায় ২০১৯ এবং ২০২০ সালে ডেঙ্গু এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর ভৌগলিক বিষয়টি তুলনা করে দেখেছেন। তিনি দেখেন যে, যেসব এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ হার কম এবং এটি বাড়ার প্রবণতাও কম সেসব এলাকায় চলতি বছর বা এর আগের বছর ডেঙ্গু মহামারি হয়েছিল।

ডেঙ্গু ভাইরাসের অ্যান্টিবডি এবং নভেল করোনাভাইরাসের বিষয়ে উল্লেখ করে গবেষণায় বলা হয়, ‘এই ফলাফল যে বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে তাহলো ডেঙ্গুর ফ্লাভিভাইরাস সেরোটাইপস এবং সার্স-কভ-২ ভাইরাসের মধ্যে হয়তো সুরক্ষামূলক আন্ত:প্রতিক্রিয়া বা ইমিউনোলিজক্যাল ক্রস-রিঅ্যাকটিভিট থাকতে পারে।’

এতে আরও বলা হয়, বিষয়টি প্রমাণিত হলে এই হাইপোথেসিসের উপর ভর করে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কার্যকর ও নিরাপদ টিকার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা গেলে তা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।

অধ্যাপক নিকোলেলিস বলেন, এটা থেকে বোঝা যায় যে এই দুই ভাইরাসের মধ্যে হয়তো ইমিউনোলজিক্যাল ইন্টার‍্যাকশন আছে যা কেউ কল্পনাও করতে পারে না। কারণ দুটি ভাইরাস সম্পূর্ণ আলাদা পরিবারবর্গের অংশ। তবে এটি নিয়ে আরও বেশি গবেষণা দরকার আছে বলেও মনে করেন তিনি।

তবে এই গবেষণা নির্ভরযোগ্য নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর।

তিনি বলেন, এর আগে তো অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী বলেছিল যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কম হবে। কারণ এই এলাকায় বিসিজি বা যক্ষ্মার টিকা দেয়া হয় বেশিরভাগ শিশুকে। কিন্তু আসলে তো তা হয়নি।

আইইডিসিআর-এর এই প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, প্রথমদিকে যেহেতু এই এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কম ছিল তাই হয়তো এমনটা বলা হয়েছিল। কিন্তু করোনা আর ডেঙ্গু পুরোপুরি আলাদা গ্রুপের ভাইরাস। এদের সাথে কোন মিল নেই।

‘তাই ডেঙ্গুর কারণে যদি কোন ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরিও হয় সেটা করোনাকে প্রটেকশন দেবে না কখনো। কারণ দুটা ভাইরাসের স্ট্রাকচারের উপর ভিত্তি করে তো অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। আর শরীর যে চিনবে তার মেমোরিতে করোনা নাই, কারণ এই ভাইরাস এর আগে সে দেখে নাই কখনো’ বলেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশেও ডেঙ্গু ও করোনা নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করা দরকার।

অধ্যাপক নিকোলেলিস বলেন, তার দল ব্রাজিলে করোনাভাইরাস কিভাবে ছড়িয়ে পড়ছে সে বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে হঠাৎ করেই ডেঙ্গুর বিষয়ে এমন তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। তারা দেখেছেন যে, মহাসড়ক দেশটিতে করোনাভাইরাসের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

এএইচ/এমবি


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি