স্বাস্থ্যবিধি মানলে দ্বিতীয় ঢেউ এড়ানো সম্ভব (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৫৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
তাপমাত্রার হেরফের বা ঋতু পরিবর্তনের সাথে কোভিড সংক্রমণ কমবেশি হওয়ার কারণ না থাকলেও শীত মৌসুমে সংক্রমিতদের ঝুঁকি বেশি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে, স্বাস্থ্যবিধি মানলে দ্বিতীয় ঢেউ এড়ানো যাবে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, শীতে সংক্রমণ বাড়লেও পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি আছে।
করোনার সাথে বসবাসের ২শ’ দিন পেরিয়েছে। গতি ফিরেছে জীবন-জীবিকায়। তবে কতটুকু মানছি স্বাস্থ্যবিধি? সংক্রমণ ঝুঁকি আছে, তারপরও টিকেটের জন্য হুড়োহুড়ির চিত্র নিঃসন্দেহে উদ্বেগ তৈরি করে।
সংক্রমণের কোন স্তরে এ প্রশ্নে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি মাসে সংক্রমণ হার কিছুটা কমেছে। ১০ থেকে ১২ এর মধ্যে শনাক্তের হার উঠানামা করছে। শনাক্ত হার ১৫ থেকে ২০ এর উপর উঠে গেলে দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে বলা যাবে।
আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোস্তাক হোসেন বলেন, সংক্রমণটা যদি কমে গিয়ে শতকরা ৫-এর নিচে চলে যায় শনাক্তের হার তখন আমরা বলতে পারবো একটা সহনীয় মাত্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখান থেকে আবার যদি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যায়, শনাক্তের হার ১৫-২০ এর উপর উঠে যায় তাহলে আমরা বলতে পারি দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। আমরা যদি সবাই মিলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি, তাহলে নিশ্চয়ই এটা কমাতে পারবো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তাপমাত্রা বা ঋতু পরিবর্তনের সাথে করোনা সংক্রমণ বাড়া বা কমার সম্পর্ক নেই। তবে যাদের অ্যাজমা বা শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা আছে তাদের সতর্ক হতে হবে।
ড. মোস্তাক হোসেন আরও বলেন, সংক্রমিত সবার ঝুঁকি থাকবে। কিন্তু যারা আগে থেকে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা অন্য কোন শ্বাসযন্ত্রের জটিলতায় আছে তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে ব্যবস্থাগুলো নেওয়া দরকার, সে বিষয়ে কোন অবহেলা করা চলবে না। হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা অবশ্যই বাড়াতে হবে।
কোভিড মোকাবেলায় প্রস্তুতির ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, মৃত্যু রেট আগে যা ছিল তখনও প্রায় একই রকম রয়েছে, বরং সংখ্যাটা বাড়ছে। কোভিড ফাস্ট সিরিয়াল, আইসোলেশনটা সে রকমই আছে। আমাদের প্রিপারেশনটা আগের মতোই।
রোগী কমে যাওয়ায় এবং অর্থ সংকটে এরই মধ্যে বন্ধ হয়েছে বেশ কিছু করোনা আইসোলেশন সেন্টার।
এএইচ/এসএ/