ব্রাজিলে করোনার সংক্রমণ স্থিতিশীল, মৃত্যু ১ লাখ ৪৬ হাজার
প্রকাশিত : ১০:৩৪, ৫ অক্টোবর ২০২০
সাও পাওলো’র দক্ষিণ অঞ্চলে করোনায় মৃত এক ব্যক্তি সমাধীর দিকে নির্বাক তাকিয়ে সমাধীস্থলের কর্মী- এপি
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে কমানো যাচ্ছে না করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। করোনার আঘাতে প্রতিদিনই এখনও শতশত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন সেখানে। গত একদিনেও সাড়ে ৩ শ’ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ লাখের বেশি ব্রাজিলিয়ান। অন্যদিকে আরও কমেছে সুস্থতার হার। অবস্থার উন্নতি নেই এ অঞ্চলের পেরু, কলম্বিয়া, চিলি ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতেও।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৯টায় বলা হয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৯ লাখ ১৫ হাজার ২৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬৪ জন। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭৫ জনে ঠেকেছে।
অপরদিকে সুস্থতা লাভ করেছেন আরও প্রায় ১৪ হাজার ৬৩৪ ভুক্তভোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ৪২ লাখ ৬৩ হাজার ২০৮ জনে পৌঁছেছে।
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশটির সাও পাওলো শহরে ৬১ বছর বয়সী ইতালি ফেরত এক জনের শরীরে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই অবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হতে থাকে। যেখানে আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
তবে শুধু ব্রাজিলই নয়, করোনার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও। যেখানে পূর্বের তুলনায় ভাইরাসটির দাপট অনেকটা বেড়েছে। এমন অবস্থায় করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে সংকটাবস্থার মধ্য দিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ব্রাজিল ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোতে দ্রুত বিস্তার লাভ করায় কলম্বিয়া, পেরু ও আর্জেন্টিনারমতো দেশগুলোর প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত ৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এর মধ্যে কলম্বিয়ায় শনাক্ত ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫২ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৭১২ জনের। পেরুতে আক্রান্ত ৮ লাখ ২৮ হাজার ১৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। যেখানে মৃতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৭৪২ জনে ঠেকেছে। আর্জেন্টিনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৭ লাখ ৯৮ হাজার অতিক্রম করেছে। মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ১৮ জনের।
এছাড়া চিলিতে সংক্রমিত ৪ লাখ ৭০ হাজার ১৭৯ জন মানুষ। এর মধ্যে ১২ হাজার ৯৭৯ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।
এমএস/