ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ভারতে কমছে সংক্রমণ, বাড়ছে প্রাণহানি ও সুস্থতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫৫, ৭ অক্টোবর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

দৈনিক সংক্রমণ হার আরও কমেছে ভারতে। এখন পর্যন্ত সাড়ে ৬৭ লাখের বেশি মানুষ ভাইরাসটির শিকার হলেও দুই-তৃতীয়াংশের বেশি রোগী সুস্থতা লাভ করেছেন। তবে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে প্রাণহানি। যার অধিকাংশই মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকের বাসিন্দা। 

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭২ হাজার ৪৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ১৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। 

অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ৯৮৬ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪ হাজার ৫৫৫ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ২২ লাখ ৭১ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১২ লাখ।

বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। 

দেশটিতে শুরু থেকেই সংক্রমণের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। যেখানে এখন অবধি ১৪ লক্ষ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। কিন্তু গত মাসে এ রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। যদিও গত ক’দিনে তা ১২-১৩ হাজারে নেমে এসেছে। 

এই প্রবণতা অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতেও। ওই দু’রাজ্যেই কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। যদিও কর্ণাটকে দৈনিক সংক্রমণ নয়-সাড়ে নয় হাজারের বেশি হচ্ছে। তবে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ দৈনিক সংক্রমণ গত মাসের তুলনায় কম। পশ্চিমবঙ্গেও সংখ্যাটা একই গণ্ডিতে রয়েছে। 

এছাড়া ওড়িশা, তেলঙ্গানা, বিহার, রাজস্থান, গুজারাটেও দৈনিক সংক্রমণ আর লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছে না। তবে কেরলের সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তার ষথেষ্ট কারণ রয়েছে।

শুধু সংক্রমণেই নয় প্রাণহানিতেও শীর্ষে মহারাষ্ট্র। যেখানে এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৭১৭ জন ভুক্তভোগী প্রাণ হারিয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ৯১৭ জনে দাঁড়িয়েছে আজ। তিনে থাকা কর্ণাটকে প্রাণহানি ঘটেছে ৯ হাজার ৪৬১ জনের।

অন্ধ্রপ্রদেশে প্রাণহানি কিছুটা কম। যার সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি। এছাড়া উত্তর প্রদেশে ভাইরাসটিতে ভুগে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ হাজার ১৫৩ জন। রাজধানী দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৫৮১ জনের। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে করোনার দাপট। 

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় হাটবাজার, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। ফলে এতোটা প্রকট আকার ধারণ করেছে করোনা। 

তবে বেড়েছে সুস্থতা। গত ২৪ ঘণ্টায়ও ৮২ হাজার ২০৩ জন রোগী সুস্থতা লাভ করেছেন। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা বেড়ে ৫৭ লাখ ৪৪ হাজার ৬৩৯ জনে পৌঁছেছে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা কমে ৯ লাখ ৭ হাজার ৮৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

এআই/এমবি


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি