ব্রাজিলে করোনামুক্ত ৪৬ লাখ রোগী
প্রকাশিত : ০৮:৪৩, ১৬ অক্টোবর ২০২০ | আপডেট: ০৮:৫১, ১৬ অক্টোবর ২০২০
ব্রাজিলে প্রতিদিনই বাড়ছে সুস্থতার হার। গত একদিনেও ৩০ হাজারের বেশি করোনা রোগী সুস্থতা লাভ করেছেন। এ নিয়ে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ৪৬ লাখে পৌঁছেছে। তবে আবারও বেড়েছে সংক্রমণ ও প্রাণহানি। এতে করে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। তবে একমাত্র আর্জেন্টিনা ছাড়া কিছুটা উন্নতি হয়েছে এ অঞ্চলের অন্যান্য ভুক্তভোগী দেশগুলোতে।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৪৯৮ জন মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৩৪ জন। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫১৩ জনে ঠেকেছে।
অপরদিকে সুস্থতা লাভ করেছেন আরও ৩০ হাজার ৬৩৩ জন ভুক্তভোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৬ জনে পৌঁছেছে।
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশটির সাও পাওলো শহরে ৬১ বছর বয়সী ইতালি ফেরত এক জনের শরীরে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই অবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হতে থাকে। যেখানে আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
তবে শুধু ব্রাজিলই নয়, করোনার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও। যেখানে পূর্বের তুলনায় ভাইরাসটির দাপট অনেকটা বেড়েছে। এমন অবস্থায় করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে সংকটাবস্থার মধ্য দিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ব্রাজিল ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোতে দ্রুত বিস্তার লাভ করায় কলম্বিয়া, পেরু ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোর প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত ৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এর মধ্যে আর্জেন্টিনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৯ লাখ ৪৯ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৩৪২ জনের।
কলম্বিয়ায় শনাক্ত ৯ লাখ ৩৭ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৪৫৭ জনের।
পেরুতে আক্রান্ত ৮ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪০ জন। যেখানে মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫৭৭ জনে ঠেকেছে।
এছাড়া চিলিতে সংক্রমিত ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯৬ জন মানুষ। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৪৩৪ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।
এআই//এমবি