সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কাছাকাছি বাংলাদেশ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২০
বিশ্বব্যাপী আকস্মিকভাবে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। আক্রান্ত ও মৃত্যু হারের রেখা আবারও উপরের দিকে। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে বিধ্বস্ত ইউরোপ। দৈনিক সংক্রমণ হার ১০ থেকে ১৩ শতাংশে উঠানামা করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হার ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ হলে দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে বলা যাবে। তারা আরও বলছেন, এ অবস্থায় প্রতিরোধের উপায় মাস্ক পরা, হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
সংক্রমণ তালিকার ২৪তম দেশ বাংলাদেশ; শনাক্তের সংখ্যা ৪ লাখেরও বেশি। দৈনিক শনাক্তের হার শতকার ১০ থেকে ১৩ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শনাক্তের হার যদি দেড়গুণ বেড়ে যায় এবং চার সপ্তাহ চলতে থাকে তবেই বলা যাবে দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।
আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, সংক্রমণের হার শতকরা হার ১৫ থেকে ১৮ হয়, এভাবে প্রতিদিন যদি ১৮ থেকে ২ হাজার রোগী শনাক্ত হতে থাকে এবং সেটি অন্তত পক্ষে চার সপ্তাহ ধরে চলতে থাকে তাহলে বলা যাবে আমাদের এখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমণের আট মাস পেরিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় এসেছে শৈথিল্য, বেড়েছে জনসমাগম। স্বাস্থ্যবিধি, দুরত্ববিধির বালাই নেই। শীতে সংক্রমণ বাড়লে কি হবে? প্রতিরোধে উপায়ই বা কি?
সিএইচআরএফ নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা বলেন, যতো আমরা স্ট্রিক থাকবো ততো আমরা ভালোই থাকবো। কেননা আমাদের ঢেউটা কখনই একদম নীচে নেমে যায়নি। যদি হাত ধুয়ে থাকি, মাস্কটা পরে থাকি, দূরত্ব বজায় রাখি তাহলে আমাদের মধ্যে কোন ঢেউ আসবে না।
শীত মৌসুমে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই করোনাকালে শিশু ও বয়স্কদের যত্ন নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এএইচ/এসএ