ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পাঁচটি জিনের কারসাজিতে জটিল হচ্ছে করোনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

করোনা সংক্রমিত হয়ে কারও ঠাঁই হচ্ছে আইসিইউতে, কেউ স্রেফ বাড়িতে থেকে সেরে উঠছেন। এর পেছনে রয়েছে স্বাস্থ্যের জিনগত মারপ্যাঁচ। এডিনবরা ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় উঠে এলো এমনই তথ্য। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার’ পত্রিকায়।

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ২০৮টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি ২৭শ’ জন গুরুতর অসুস্থ করোনারোগীর ডিএনএ পরীক্ষা করেন। তাতে তারা দেখেছেন, দেহের পাঁচটি জিনের গড়বড়েই দেখা দিচ্ছে সংক্রমণে জটিলতা। কারণ ওই পাঁচটি জিন মূলত দেহের ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা (অ্যান্টিভাইরাল ইমিউনিটি) বৃদ্ধি করে এবং ফুসফুসে প্রদাহ রুখতে সাহায্য করে।

জিনগুলো হল— আইএফএনএআর২, টিওয়াইকে২, ওএএস১, ডিপিপি৯ এবং সিসিআর২। 

এডিনবরার ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিনের পরামর্শদাতা ও গবেষক কেনেথ বেলি বলেন, ‘আমাদের এই গবেষণা কোন ওষুধের কত কার্যকারিতা রয়েছে তা বুঝতে সাহায্য করবে। অর্থাৎ, সম্ভাব্য কোন ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পরীক্ষা করে দেখা হবে, ওই জিনগুলোর উপরে ওষুধের প্রভাব কতটা জোরদার।’

তিনি আরও বলেন, আবার বাজারে থাকা প্রদাহজনিত রোগের কোনও ওষুধ করোনার চিকিৎসায় ভাল কাজ দিতে পারে কি না, সেটাও এই জিনগুলো জানিয়ে দেবে। যেমন বেশ কিছু অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ (আরথ্রাইটিসের ওষুধ ব্যারিসাইটিনিব) করোনার চিকিৎসার ভাল কাজ দিতে পারে বলে দাবি কেনেথের।
 
তাঁর নেতৃত্বাধীন গবেষক দলটি আরও জানিয়েছে, চিহ্নিত পাঁচটি জিনের মধ্যে আইএফএনএআর২-র কার্যকারিতা বাড়ানো গেলে, করোনা সংক্রমণ রুখে দেওয়া অনেকটাই সহজ হবে। 

করোনা প্রতিরোধে বিশ্ব জুড়ে কয়েকশ’ গবেষণা চলছে। এডিনবরার এই রিপোর্টকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই।     

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি